ক্যান্সারের নাম শুনলেই যে কোনও মানুষের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যায়। এই রোগ খুবই মারাত্মক এবং সময়মতো এর চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু নিশ্চিত। আবার কিছু ক্যান্সারও রয়েছে যেখানে, লক্ষণগুলি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায় না। আর যখন জানতে পারা যায়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। দেখা যায়, ক্যান্সার চতুর্থ বা শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।এই পর্যায়ে, ক্যান্সার কোষগুলি শরীরের অন্যান্য অংশ এবং অঙ্গগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের খারাপভাবে ক্ষতি করতে শুরু করে। কিছু ক্যান্সার এতটাই মারাত্মক যে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে ক্যান্সারের সঙ্গেও যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব হয়।ক্যান্সার শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে৷ যেমন, প্রস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, মলদ্বারের ক্যান্সার যেমন আজকাল সাধারণ হয়ে উঠছে। আমাদের লাইফস্টাইল, পারিবারিক ইতিহাস, জিন, খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব, পরিবেশ, এমনকি ঘরে ব্যবহৃত কিছু জিনিস ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্লাস্টিক পাত্রে গরম খাবার ব্যবহারের জেরেও ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এছাড়া, আপনার ঘরে এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করা হয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।ঘরে থাকা এই জিনিসগুলো হতে পারে ক্যান্সারের কারণ৷ এর মধ্যে একটি হল আপনার প্লাস্টিকের সবজি কাটার বোর্ড। অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, প্লাস্টিকের জিনিস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বোর্ডে উপস্থিত মাইক্রোপ্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরো সবজি ও ফল কাটার সময় এতে আটকে যায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্লাস্টিকের টুকরো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টিনাল সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। সবজি ও ফল কাটার জন্য কাঠের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করাই ভাল।লোকেরা প্রায়শই তাদের বাড়িতে সন্ধ্যায় বা পার্টিতে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালায়। এই মোমবাতিগুলিও ক্ষতিকর হতে পারে। এর মধ্যে কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের হরমোনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানোর ফলে রাসায়নিকযুক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা ঘরের পরিবেশকে দূষিত করতে পারে। এগুলি জ্বালালে, ঘরে ধোঁয়া বের হওয়ার জন্য সঠিক বায়ুচলাচলের পথ থাকা নিশ্চিত করুন।আপনার বাড়িতে রান্নার জন্য আপনি নিশ্চই নন-স্টিক পাত্র ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে খারাপ মানের নন-স্টিক পাত্র ব্যবহারে কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক নির্গত হয়? এই পাত্রগুলি পুরনো হয়ে গেলে, তাদের আবরণ খোসা ছাড়তে শুরু করে এবং খাবারের সাথে তা মিশে যায়। এর ফলে রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। সবসময় ভাল মানের নন-স্টিক পাত্র কিনুন। যদি সেগুলি পুরনো হয়ে যায় এবং তাদের কালো আবরণ খোসা ছাড়তে শুরু করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটির ব্যবহার বন্ধ করুন। ইস্পাত, লোহা এবং অ্যালুমিনিয়ামের বাসন রান্নার জন্য সবচেয়ে ভাল।Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
