সনাতন ধর্মে বছরের ১২ মাসই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি মাসই কোন না কোন দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাস ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এবং ২১ মে শেষ হবে। বৈশাখ মাসের গুরুত্বকে অত্যন্ত বিশেষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। স্কন্দপুরাণে বৈশাখ মাসকে সকল মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।বৈশাখ মাস সম্পর্কে আরও একটি বিশ্বাস আছে যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে, সে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়৷ এছাড়াও বৈশাখ মাসে তুলসীর পূজা করা হয় এবং তাকে কিছু নিবেদন করা হয়, তাহলে ঘর থেকে দারিদ্র দূর হয়। এবং ঘরে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।অযোধ্যার জ্যোতিষী পন্ডিত কল্কি রাম বলেছেন যে, সনাতন ধর্মে তুলসীকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তুলসী গাছে মা লক্ষ্মীর বাস। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে তুলসী গাছ রাখলে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং সুখ ও শান্তি আসে। বৈশাখ মাসে স্নান দান করলে অনন্ত পুণ্য লাভ হয়। এছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই মাসে তুলসী সংক্রান্ত কিছু বিশেষ প্রতিকার করলে অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয় এবং দারিদ্র্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।বৃহস্পতিবার মা তুলসীকে উৎসর্গ করা হয়, তাই বৈশাখ মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার তার বিশেষ পূজা করে ভক্তরা বিশেষ উপকার পান। বৃহস্পতিবার তুলসী পূজা করার সময় একটি পাত্রে ৭ টুকরো হলুদ, ১ টুকরো গুড় এবং ৭ গ্রাম ডাল রেখে তুলসীর কাছে রাখুন। এতে করে আপনার সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।বৈশাখ মাসে তুলসীকে জল নিবেদন করার সময় একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিবেদন করুন। আপনার হাতে হলুদ এবং জল নিন এবং আপনার মনের ইচ্ছার কথা বলার সময় তুলসীকে নিবেদন করুন। এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হবে।বৈশাখ মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুলসীর কাছে একটি আটার প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে ঘি ঢেলে জ্বালিয়ে রাখলে মা তুলসী খুব খুশি হন। তুলসীর কৃপায় মিটবে আর্থিক সঙ্কট, ফুলে-ফেঁপে উঠবে সংসার৷
