*সনাতন ধর্মে সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। একই ভাবে, সোমবার আমরা ভগবান শিবের উপাসনা করে পূজা করি। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে ভগবান শঙ্কর এবং মা পার্বতীর জন্য উপবাস পালন করলে এবং আচার অনুসারে তাঁদের পূজা করলে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। সংগৃহীত ছবি। *শিবপুরাণ অনুসারে, ভগবান শঙ্করের আরাধনা করলে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এর পাশাপাশি সুখ ও সৌভাগ্যও বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এই দিনে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে সোমবারে কোন নিয়ম মেনে চলা উচিত। সংগৃহীত ছবি। *অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম জানিয়েছেন যে সোমবার ভগবান শঙ্করকে খুশি করার জন্য ভক্তরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এটি করলে ভগবান শঙ্করের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের পরিবর্তন হয়। সংগৃহীত ছবি। *যাঁদের রাশিতে অশুভ গ্রহের প্রভাব রয়েছে তাঁরাও অশুভ গ্রহের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। ভক্তদের সপ্তাহের প্রতি সোমবার ব্রাহ্ম মুহুর্তে স্নান ও ধ্যান করে রীতি অনুযায়ী ভগবান শঙ্করের পূজা করতে হবে। গঙ্গা জলে কালো তিল মিশিয়ে ভগবান শিবের অভিষেক করতে হবে। এই দিনে এমনটা করলে মানুষ জীবনের দুঃখ ও সংকট থেকে মুক্তি পায়। সংগৃহীত ছবি। *কেউ যদি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে প্রতি সোমবার রীতি অনুযায়ী দেবী পার্বতী ও ভোলানাথের পূজা করা উচিত। এদিন কাঁচা দুধ দিয়ে শিব ও পার্বতীর অভিষেক করতে হবে। এতে করে কুণ্ডলীতে চন্দ্র গ্রহের অবস্থান মজবুত হয়। সংগৃহীত ছবি। *শুক্র যাঁদের রাশিতে দুর্বল অবস্থানে রয়েছেন, তাঁদের সপ্তাহের প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার ভগবান শঙ্করের পূজা করতে হবে এবং মন্ত্র জপ করতে হবে। গঙ্গাজল ও মধু মিশিয়ে ভগবান শঙ্করের অভিষেক করা উচিত। এতে রাশিতে শুক্রের অবস্থান শক্তিশালী হয়। সংগৃহীত ছবি। *যাঁরা শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে চান, তাঁদের প্রতি সোমবার পূজা করার সময় গঙ্গাজলে শমী পাতা মিশিয়ে ভগবান শঙ্করের অভিষেক করতে হবে। এতে ব্যক্তির ওপর সর্বদা শনিদেবের আশীর্বাদ বজায় থাকবে এবং ব্যক্তি আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাবেন। সংগৃহীত ছবি।
