সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে প্রতি অর্থবর্ষে ন্যূনতম পরিমাণ জমা করতে হয়। তবেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকবে। বার্ষিক পরিমাণ জমা না করলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি জরিমানাও হতে পারে।চলতি আর্থিক বছরে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে ন্যূনতম অর্থ জমা করার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। আয়করের সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে।আসলে নতুন কর ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করতে ২০২৩-এর ১ এপ্রিল থেকে আয়কর স্ল্যাবে বদল এনেছে। মূল ছাড়ের সীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। নতুন কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই যাঁরা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা নতুন কর ব্যবস্থায় আয়কর দিতে পারেন। কিন্তু তাহলে এই স্কিমগুলোতে বিনিয়োগের উপর যে কর সুবিধা মিলত, তা আর পাওয়া যাবে না।এই পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে, চলতি অর্থবর্ষে এই স্কিমে আর বিনিয়োগ বা টাকা জমা করার দরকার নেই। কিন্তু এমনটা করলে জরিমানা দিতে হতে পারে।সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: এই স্কিমে প্রতি অর্থবর্ষে ন্যূনতম ২৫০ টাকা জমা দিতে হয়। নাহলে অ্যাকাউন্ট ডিফল্ট হয়ে যাবে। ডিফল্ট অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে প্রতি বছরের জন্য ৫০ টাকা হিসেবে ডিফল্ট ফি দিতে হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে ন্যূনতম জমার পরিমাণ অর্থাৎ মোট ৩০০ টাকা করে দিতে হবে।পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড: ২০১৯-এর নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক অর্থবর্ষে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা করতে হয়। ন্যূনতম পরিমাণ জমা না করলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে প্রতি বছরের হিসেবে ৫০ টাকা ডিফল্ট ফি এবং ন্যূনতম জমার পরিমাণ অর্থাৎ ৫৫০ টাকা দিতে হবে।ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম: এনপিএসে প্রত্যেক অর্থবর্ষে ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা করতে হয়। নাহলে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যায়। অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে ৫০০ টাকা জমা করতে হবে। সঙ্গে ন্যূনতম পরিমাণ।