পাঁচমিশালি General Knowledge: ২,৩ নাকি ৫, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত বছর হওয়া উচিত? বিজ্ঞান কি বলে? ‘আসল’ হিসেবটা বুঝে নিন Gallery October 17, 2024 Bangla Digital Desk শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য তিন থেকে পাঁচ বছর হওয়া উচিত। এও মনে করা হয় স্বামীর বয়স স্ত্রীর চেয়ে বড় হতে হবে। সমাজের একটি বড় অংশ এখনও এই চিন্তাধারা অনুসরণ করে। আপনি যদি ভাবেন, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের এই পার্থক্য শুধু একটি সামাজিক রীতি, তাহলে ভুল করছেন। এর পিছনে বিজ্ঞানের যুক্তিও আছে। বিজ্ঞান মতে, বিয়ের জন্য শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ জরুরি। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেয়েরা সাধারণত শারীরিক ও মানসিকভাবে ছেলেদের তুলনায় তাড়াতাড়ি পরিণত হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হরমোনের পরিবর্তন ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয়। তবে এর মানে এই নয় যে হরমোনের পরিবর্তন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের বয়স এসে গিয়েছে। বিশ্বের এক এক দেশে বিবাহের ন্যূনতম বয়স এক একরকম। ভারতে, মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তিন বছরের পার্থক্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে বয়সের পার্থক্য নিয়ে সমাজে অনেক বিশ্বাস রয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। শাহিদ কাপুর এবং তাঁর স্ত্রী মীরা রাজপুতের মধ্যে ১৫ বছরের পার্থক্য রয়েছে। আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের মধ্যে ১১ বছরের ব্যবধান রয়েছে। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাঁর থেকে ১০ বছরের ছোট নিক জোনাসকে বিয়ে করেছেন। বিজ্ঞানের মতে, সঠিক বয়সের পার্থক্য নির্ভর করে উভয় সঙ্গীর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের উপর। বিবাহের সাফল্য কেবল বয়সের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে না। এটি একে অপরের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধার উপর নির্ভর করে। বয়সের পার্থক্য ৩ বছর হোক বা ১৫, সত্যিকারের সফল সম্পর্ক হল সেই সম্পর্ক যেখানে উভয়েই একে অপরের চিন্তাভাবনা বোঝে। সম্পর্ক বিশারদরাও তাইই বলেন কিন্তু।