ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট অবশ্যই আছে। কিন্তু সবাই যে বিনিয়োগ করেন, তা কিন্তু নয়। বরং অজুহাত দেন, সংসার চালাতেই সব খরচ হয়ে যায় বিনিয়োগ আর কীভাবে হবে? কিংবা বিনিয়োগের জন্য অনেক টাকার দরকার, এত টাকা কোথা থেকে আসবে?এটা হল দেখছি, দেখব মনোভাব। এর বাইরে আরেক রকমের লোক আছেন, যাঁরা কোথায় বিনিয়োগ করলে ভাল লাভ পাওয়া যাবে, সারাক্ষণ সেটাই খুঁজেই চলেছেন। খোঁজাখুঁজির চক্করে বিনিয়োগ আর করা হচ্ছে না। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি হু হু করে বাড়ছে। সম্পদ সৃষ্টি করতে চাইলে তাই বিনিয়োগই একমাত্র পথ। বিনিয়োগকারীদের জন্য দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে এসেছে পোস্ট অফিস। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে মোটা টাকা রিটার্ন পেতে পারেন যে কেউ।৯ বছরে টাকা দ্বিগুণ: পোস্ট অফিস মানে বিনিয়োগ থাকবে নিরাপদ। সঙ্গে মিলবে নিশ্চিত রিটার্ন। অর্থাৎ কোনও ঝুঁকি নেই। ঝুঁকি ছাড়াই টাকা ডবল করার এই স্কিমের নাম কিষাণ বিকাশ পত্র। এখানে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীর অর্থ ৯ বছর ৭ মাসে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমে বার্ষিক ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয় একসঙ্গে। স্কিমের নামে ‘কিষাণ’ আছে বলে শুধুমাত্র কৃষকরাই এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন, তা কিন্তু নয়।আসলে কৃষকদের জন্যই এই স্কিম শুরু করা হয়েছিল, পরবর্তীকালে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। যাইহোক এই স্কিমে আড়াই বছর পরেও টাকা তুলে নেওয়া যায়। এখানে বলে রাখা ভাল, কিষাণ বিকাশ পত্রের পাশাপাশি ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমেও ভাল সুদ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় সুদের হার বেশি: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় সুদের হার অনেক বেশি। ৫ বছরের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। অন্য দিকে, ফিক্সড ডিপোজিটে ১ বছরের বিনিয়োগে ৬.৯ শতাংশ, ২ বছরের বিনিয়োগে ৭ শতাংশ, ৩ বছরের বিনিয়োগে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।
