সাধারণত এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। আর বিনিয়োগকারীরা কিস্তির মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করতে পারেন। যত বেশি সময় ধরে এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা হবে, তত ভাল করে চক্রবৃদ্ধি বা কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা নিতে সক্ষম হবেন। যে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারে সরাসরি স্টকগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করে বেশি ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা কম ঝুঁকিপূর্ণ এসআইপি-তে বিনিয়োগ করতে পারেন।এসআইপি-তে আনুমানিক বার্ষিক রিটার্ন ১২ শতাংশ পর্যন্ত বলে মনে করা হয়। কখনও কখনও এটি ১৪ এবং ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। যত দীর্ঘ সময় ধরে এসআইপি চলবে, তত বেশি লাভ অর্জন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘমেয়াদী এসআইপি-র মাধ্যমে কোটি টাকার লাভ করতে পারবেন।যে কোনও ভারতীয় নাগরিক পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি কর সাশ্রয় বা ট্যাক্স সেভিং এবং বিনিয়োগের একটি পুরানো আর নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়। বিনিয়োগকারীরা পিপিএফ-এ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে চক্রবৃদ্ধি বা কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা পেতে পারেন।বর্তমানে পিপিএফ-এ সুদ মিলছে ৭.১ শতাংশ পর্যন্ত। পিপিএফ-এ ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু ৫-৫ বছরের ব্লকে এটি বাড়িয়ে ভবিষ্যতের বছরগুলির জন্যও বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে পারেন এবং একটি ভাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে যেতে পারেন। যদি কেউ বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করেন এবং এই স্কিমটি ২৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে, তিনি একজন কোটিপতি হয়ে যাবেন।চাকরিজীবীদের জন্য ইপিএফ একটি ভাল বিনিয়োগের বিকল্প হতে পারে। এটি সাধারণত একটি অবসর পরিকল্পনা। যা বার্ধক্য জীবনকে সুরক্ষিত করে। বিনিয়োগকারীরা ইপিএফ-এ চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধাও পাবেন।এছাড়াও এর থেকে প্রাপ্ত সুদ অন্যান্য সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বর্তমানে পিএফ-এ সুদ মিলবে ৮.২৫%। ইপিএফ-এ মূল বেতন এবং মহার্ঘ্য ভাতার মাত্র ১২ শতাংশ জমা রাখতে পারেন। কিন্তু ভিপিএফ-এর মাধ্যমে এই অবদান বাড়ানো যেতে পারে।ইপিএফও বিনিয়োগকারীকে ভিপিএফ-এর বিকল্প বেছে নেওয়ারও সুযোগ প্রদান করে। এর মাধ্যমে পিএফ-এ নিজের অবদান বাড়াতে পারেন। চাকরিজীবীরা মূল বেতন এবং মহার্ঘ্য ভাতার ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ভিপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদে ভাল সম্পদ যোগ করতে পারেন। ভিপিএফ-এ ইপিএফ-এর মতোই সুদ মেলে। অর্থাৎ এই বিনিয়োগে ৮.২৫% সুদ পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ইপিএফ-এ ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়া যায়।
