কলকাতা: দেবী তো সবারই, পুজোও তাই! তার পরেও কলকাতার দুর্গাপুজোই কেন কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি, সেই প্রশ্ন তুললে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় এর সঙ্গে জুড়ে থাকা শিল্পের দিক। থিমের ঠাকুর হোক না হোক, একেবারে সাধারণ একচালা প্রতিমাও হয় শিল্পসুষমামণ্ডিত। বড় বড় পুজোর মণ্ডপের চোখধাঁধানো অন্দরসাজের কথা বাদই দেওয়া যাক, যতটা না প্রতিমার টানে, তার চেয়ে বেশি শিল্পের টানে ভিড় জমে সেই সব জায়গায়। আহিরিটোলা সর্বজনীনের দুর্গাপুজোও (Ahiritola Sarbojanin Durgotsav) তার ব্যতিক্রম নয়। ব্যতিক্রমী চিন্তাধারা এবং ধ্রুপদী সৌন্দর্যের নান্দনিকতা এই পুজোর মূল কথা। এবারেও মণ্ডপে থাকবে তারই ঝলক। সৌজন্যে লিগ্যাসি কালেকটিভ এবং শি কাঁথা।
আরও পড়ুন- জিতেন্দ্রর এই হিট ছবির গান শুনলে চোখে জল আসতে বাধ্য! অথচ ৯০ শতাংশ মানুষ এর মানেই জানেন না
বাকারডির লিগ্যাসি কালেকটিভ বহু বছর ধরে জীবনযাপনের সূক্ষ্মবোধকে কুর্নিশ করে আসছে। শিল্প আর বিলাসকে সে মিলিয়েছে এক খাতে। তেমনই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শি কাঁথা (She Kantha) জোর দেয় দেশের হস্তশিল্প এবং নারীর ক্ষমতায়ণে। আর্থিক দিক থেকে অনুন্নত নারী যাতে নিজের জোরে দশ হাতে সংসার সামাল দিতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় তারা সদা তৎপর। এই যুগল সংস্থার উদ্যোগেই এবার আহিরিটোলার পূজাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে নকশি কাঁথার মাঠ। জানা গিয়েছে, লিগ্যাসি কালেকটিভ এবং শি কাঁথার যৌথ প্রয়াসে আহিরিটোলা সর্বজনীনের মণ্ডপে দর্শকরা চাক্ষুষ করতে পারেন ১০০ ফুটের সুবিশাল দুই নকশি কাঁথা। শি কাঁথার নারীদের নিজের হাতে বোনা এই কাঁথা গাথা হয়ে ফিরবে মুখে মুখে।
সঙ্গত কারণেই এই প্রদর্শন নিয়ে আশাবাদী এবং উচ্ছ্বসিত দুই পক্ষই। বাকারডি ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক স্পিরিটস অ্যান্ড আরটিডি প্রধান আয়েষা গুপ্তু (Ayaesha Gooptu, Head of Domestic Brown Spirits and RTD, Bacardi India) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে লিগ্যাসি কালেকটিভ সব সময়ে ভারতের আত্মা, যা তার শিল্পকর্মে প্রতিফলিত হয়, তাকে সমর্থন করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। সেই জায়গা থেকেই এবার শি কাঁথার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। কেন না, নকশি কাঁথা বাংলার নিজস্ব পরিচিতি, এক দিকে যেমন তাঁরা এটি তুলে ধরার সুযোগ পেলেন, অন্য দিকে তেমনই পেলেন কাঁথাশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জায়গা।
একই সুর শি কাঁথার প্রধান মল্লিকা ভার্মার কণ্ঠেও। দেশের ধ্রুপদী শিল্প প্রদর্শনের মঞ্চনির্মাণ এবং শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা, দুইয়েরই জন্যই তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিগ্যাসি কালেকটিভকে। নকশি কাঁথার এই প্রদর্শন যে দুর্গাপুজোর আনন্দোচ্ছ্বাস বৃদ্ধি করবে, সে বিষয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি।