ভরদুপুরে কলকাতায় চরম বিপাকে দুর্নিবার-মোহর

Durnibar-Mohor: গলা টিপে ধরে টেনে হিঁচড়ে আক্রমণ, চড়াও মোহরের উপরেও, তারপরই শুরু…! ভরদুপুরে কলকাতায় চরম বিপাকে দুর্নিবার-মোহর

কলকাতা: কলকাতা শহর যে আর নিরাপদ নয় তা বারবারেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে৷ এবার ভরদুপুরে কলকাতার রাস্তায় চরম বিপাকে পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা ও তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরা ঘটনার কথা নিজেই তুলে ধরেছেন দুর্নিবার৷ তিনি বলেন, দিনেদুপুরে একদল লোকজন চড়াও হয়৷ তারপরই শুরু হয় অসভ্যতামি৷

সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে দুর্নিবার বলেন, আমি দুর্নিবার, আমার সঙ্গে আছে মোহর৷ ঠিক এক ঘণ্টা আগে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড, যেটা নেতাজীনগর থানার মধ্য্ পড়ে৷ নাকতলার ভিতরে একটা রাস্তায় মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে৷ আমরা আমাদের পোষ্যকে নিয়ে একটা গ্রুমিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম৷ তখন বেলা ৩ টের সময়? কোথাও কোনও স্টপ সাইন নেই, রোড ব্লকেড নেই৷ কিন্তু কিছু লোকজন রাস্তায় কাজ করছিল৷ ৫-৬ বার হর্ন দেওয়ার পড়ে তারা সরেনি৷ তারপর গাড়ির কাচ নামিয়ে বলি, এটা দুপুরবেলা, রাস্তা ঠিক করার সময় নয়, সরে যান আর গাড়িটা যেতে দিন৷ ব্য, তারপরই তারা তেড়ে আসেন৷ ওদের সঙ্গে কথা বলতে গাড়ি থেকে নামতেই বাধে বিপত্তি৷

গায়ক আরও বলেন, ওরা আমার গলা চেপে ধরে৷ যাতে আমি নিঃশ্বাস নিতে না পারি৷ আমার গলায় ভীষণ ব্যথা৷ এখনও ঢোঁক গিলতে পারছি না৷ নিজেকে বাঁচাতে আমিও তাদের একজনের গলা ধরি৷ তখন ওরা ৩-৪জন মিলে টেনে হিঁচড়ে আমায় রাস্তার উল্টোদিকে নিয়ে যায়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মোহর নামে গাড়ি থেকে৷ তখনও একজন আমার গলা টিপে ধরে আছে আর অন্যজন হাত ধরে আছে৷ আমি মোহরকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করি৷

আরও পড়ুন-‘এবারও কী তাঁর দোষ?’ আরজি কর কাণ্ডের নৃশংসতায় প্রশ্ন তুললেন অনুষ্কা শর্মা, ‘তোলপাড়’ গোটা দেশ…

তবে এরম পরিস্থিতি দেখে মোহর বলে, যদি পারেন তো আমার গায়ে হাত দিয়ে দেখান৷ এরপরেই একজন মহিলা সজোরে চড়াও হয় মোহরের উপর এবং ধাক্কা মাড়ে৷ মোহরের হাতে খুব ব্যথা লাগে৷ রাস্তায় লোকজন জড়ো হয়ে যায়৷ ভরদুপুর বেলাতেই ওরা ডাল নিয়ে তেড়ে আসে৷ তাতে হাত কেটে যায় আমার৷ পুরো ঘটনায় আমরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত৷ সকলকে একটাই অনুরোধ করব, যাঁদের চোখে-মুখে অশিক্ষার ছাপ রয়েছে, তাঁদের থেকে দূরে থাকুন৷ তবে এটাও দুনির্বার জানান, যারা রাস্তায় কাজ করছিলেন, তারা কিন্তু মিস্ত্রী নন, তারা সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা৷ মোহর বলেন, এত কিছুর পরেও বলব, কিছু ভাল মানুষ হয়তো আছেন৷ আমাকে কাঁদতে দেখে একজন ভদ্রলোক বলেন, মা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো, চারিদিকে যা হচ্ছে বুঝতে পারছি না কেন হচ্ছে, তুমি প্লিজ গাড়িতে গিয়ে বসো৷ তবে এটা সত্যিই আমরা সকলেই খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি৷ এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারছি না৷