ইস্টবেঙ্গলের সামনে আজ ওড়িশা, প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় লাল হলুদ

#ভুবনেশ্বর: শেষবার যখন যুবভারতীতে ওড়িশার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দু গোলে এগিয়ে থেকেও চার গোল হজম করে হেরেছিল ম্যাচটা। কিভাবে এমনটা হতে পারে ভেবে কূলকিনারা পাননি অনেকেই। চলতি আইএসএলে টানা দু’টি ম্যাচে জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি’কে হারিয়ে ঘরের মাঠে প্রথম জয় পাওয়ার পর লাল-হলুদ শিবিরে তৈরি হয়েছে আত্মবিশ্বাসের ফানুস।

শনিবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ইস্ট বেঙ্গলের সামনে ওড়িশা এফসি। কলকাতায় জোসেফ গোমবাউয়ের প্রশিক্ষণাধীন দলের কাছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে হারতে হয়েছে ২-৪ ব্যবধানে। সেই পরাজয়ের ক্ষত স্পষ্ট লাল-হলুদ শিবিরে। তাদের দলে এখন একটাই স্লোগান, ‘প্রথম ছয়ে শেষ করা।’

কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন কথায় কথায় গত মরশুমের উদাহরণ টেনে নিজেকে সফল প্রমাণিত করার চেষ্টায় রয়েছেন। এই দলের অধিকাংশ ফুটবলার বেছেছেন স্বয়ং কোচ। তাই পারফরম্যান্স খারাপ হলে দায় তিনি কর্তাদের দিকে ঠেলতে পারবেন না। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হার। একটিতে জয়। লাল-হলুদ জনতা তাই এই দল নিয়ে স্বপ্ন দেখাই ভুলে গিয়েছেন।

বলতে দ্বিধা নেই, কোচের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে।ওড়িশা ১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। ইস্টবেঙ্গলের ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। ১৩ গোল দিয়ে হজম করেছে ২০ গোল। ফিটনেস সমস্যায় ভুগছে গোটা দল। অনেকেরই অল্পবিস্তর চোট-আঘাত রয়েছে। ব্রাজিলীয় ফরওয়ার্ড ক্লেটন সিলভা এই দলটার সম্পদ।

অন্য ব্রাজিলীয় এলেক্স লিমা আগের মত ছন্দে নেই। নতুন বিদেশি জার্ভিস এসে গেলেও এই ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা নেই। কিরিয়াকু পারবেন কিনা কেউ জানে না। নিজেদের ঘরের মাঠে ওড়িশা অবশ্য পুরো পয়েন্ট পেতে অল আউট খেলবে।