বন্দে ভারতের মতো দ্রুত গতির ট্রেন নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রেলের৷

High speed trains: ট্রেন ছুটবে ঝড়ের গতিতে, লাইন তৈরি থাকলেও বাধা কীসে? রাজ্যের সহযোগিতা চায় রেল

: ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বন্দে ভারতের মতো ট্রেন ছোটাতে চায় রেল৷ যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে শুরু হয়েছে কবচ প্রযুক্তির ব্যবহার৷ যদিও রেলের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে গবাদি পশু, এমন কি মানুষও৷ দ্রুত গতির ট্রেন ছুটবে যে লাইন ধরে ছুটবে তার দু পাশে জনবহুল এলাকা৷ ফলে কখনও গবাদি পশু, কখনও মানুষ চলে আসছে রেল লাইনে৷ তাই পরিকাঠামো তৈরি থাকলেও সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না৷

বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে বেশি করে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রেল৷ রেল লাইনকে বাধা মুক্ত করতে তাই রেল পথের দু ধারে বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল৷

আরও পড়ুন: দেখে মনে হবে আলমারি, ভিতরে গোপন ডেরা! কাশ্মীরে নিকেশ ৬ জঙ্গি, দেখুন ভিডিও

পূর্ব রেলের আওতাধীন ডানকুনি থেকে খানা জংশন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ আবার আসানসোল থেকে যশিডি পর্যন্তও একই গতিতে ট্রেন চালাতে চায় পূর্ব রেল৷ কিন্তু দু ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পাশের জনবহুল এলাকা৷ ফলে ডানকুনি থেকে খানা এবং আসানসোল থেকে যশিডি পর্যন্ত রেল পথের দু পাশেই বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল৷ ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় এই বেড়া দেওয়ার কাজ শুরুও হয়েছে৷

যদিও বেড়া দিতে গিয়েও সমস্যার মুখে পড়েছে রেল৷ কারণ ফেন্সিং দিতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই জমি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রেলকে। তাই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইছে পূর্ব রেল৷

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার গবাদিপশু উঠে এসে ইঞ্জিনের সাথে ধাক্কা লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্দেভারত সহ একাধিক ট্রেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ‘আসলে আমরা হাইস্পিড ট্রেন চালাতে উদ্যোগী। বিভিন্ন স্থানে তার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামীদিনে ট্রেন চালাতে যাতে বাধা না আসে তাই আমরা লাইনের উভয়প্রান্তে ফেন্সিং বসাচ্ছি। এর ফলে আমাদের যাত্রাপথে ভীষণ সুবিধা হবে। দুরন্ত গতিতে ট্রেন দৌড়তে পারবে।’

তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় জমি ভীষণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের হাতে জমি থাকলেও তা হাতবদল হয়েছে। সেই জমির জবরদখল রুখতে এবার সচেষ্ট রেল। রাজ্যের থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা৷