২০০৮-এর চেয়েও বড় মন্দা আসছে! সামনে বড় বিপদ! অর্থনীতিবিদের বড়সড় দাবি

নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজার ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত-সহ গোটা বিশ্বের সব বাজারেই দেখা যাচ্ছে তীব্র গতি। লাভবান হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দু’হাতে মুনাফা কামাচ্ছেন তাঁরা। তবে খুব বেশিদিন এমনটা চলবে না। মন্দা আসতে চলেছে।

২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার কথা মনে আছে? প্রায় ছারখার হয়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি হবে ২০২৫ সালে। এমনটাই বলেছেন শীর্ষ মার্কিন অর্থনীতিবিদ হ্যারি ডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, শেয়ার বাজার ক্র্যাশ করে যাবে। ২০০৮ সালের চেয়েও গভীর আর্থিক সংকট দেখা যাবে গোটা বিশ্বে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রতারণায় অভিযুক্ত আফগান তারকা, শাস্তি হতে পারে?

হ্যারি ডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেস্টসেলিং লেখক এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। বিশেষ পদ্ধতিতে বিভিন্ন দেশের আর্থিক ব্যবস্থার অধ্যয়ন করেন, পাশাপাশি নিজস্ব বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে সেই অর্থব্যবস্থা থেকে কী আশা করা যায়, সে সম্পর্কে তথ্য দেন তিনি।

ডেন্ট বলেছেন, “বর্তমানে স্টক মার্কেট একটা বুদবুদ, সম্পূর্ণ কৃত্রিম। গত ১৪ বছর ধরে এই কৃত্রিম বুদবুদ তৈরি হচ্ছে, অর্থনীতির অভূতপূর্ব পাম্পিং থাকে এই বুদবুদ চালিত হচ্ছে”।

অর্থনীতিবিদের যুক্তি হল, এগুলো যে আদতে বুদবুদ সেটা চিনতেই পাঁচ থেকে ছয় বছর কেটে যায়। তবে বর্তমানের বুদবুদ একটু বেশিই দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে, “সুতরাং ২০০৮-০৯-এর তুলনায় বড় পতনের জন্য তৈরি থাকতে হবে”।

পতন কতটা গভীর হতে চলেছে: হ্যারি ডেন্ট Nvidia-র মতো বড় স্টকগুলির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে সতর্ক করেছেন। সোজাসুজি জানিয়েছেন, ইতিবাচক প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় S&P শীর্ষ থেকে ৮৬ শতাংশ নীচে নামবে। Nasdaq ৯২ শতাংশ।

Nvidia মতো স্টক যাকে খুব ভাল দেখাচ্ছে, ভাল কোম্পানিও, ৯৮ শতাংশ নীচে নেমে যাবে”। ডেন্টের দাবি, শেয়ারবাজারে বুদবুদ তৈরি হচ্ছে বলেই, বিশ্বজুড়ে সরকার অর্থনীতির জন্য ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করছে।

আরও পড়ুন- চিলির রক্ষণ ফাঁদ কাটিয়ে শেষবেলায় গোল করে নায়ক মার্তিনেজ, কোপার শেষ ৮ এ মেসি

২০০৮ সালের বড় পতন: ২০০৮ সালে সেনসেক্সে সবচেয়ে বড় পতন হয়। ২৭ অক্টোবর সেনসেক্স ৬৩ শতাংশ কমে ৭৬৯৭-এ দাঁড়ায়। সেই সময় আমেরিকার সাব প্রাইম ক্রাইসিসের কারণে সৃষ্ট মন্দা শেয়ার বাজারকে একধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনে।

শুধু আমেরিকা নয়, গোটা বিশ্বেই শেয়ার বাজারের পতন হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যায়। সারা বিশ্বের সব অর্থনীতিতেই হতাশা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।