ধত আলিফ ও আনিসুর৷

Ration Scam: ‘মুকুল’ ও ‘বিদেশ’, এই দুই ফোল্ডার থেকেই আজ ইডি হেফাজতে আলিফ-আনিসুর 

কলকাতা: একটা চিঠি ও কম্পিউটারের দুটো ফোল্ডারের নামই ধরিয়ে দিল মুকুল ও বিদেশকে। ‘মুকুল’ মানে আলিফ নূর ও ‘বিদেশ’ মানে আনিসূর রহমান। রেশন দুর্নীতি মামলায় যাদের বিরুদ্ধে ধান কেনার নামে সরকারি ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে এই দু জনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

রেশন দুর্নীতি মামলায় বারে বারে চর্চায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি। গত বছর হাসপাতালে থাকাকালীন তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠির সূত্র ধরেই একের পর এক নাম ইডির হাতে। যে চিঠির সূত্র ধরেই বনগাঁর শঙ্কর আঢ্য গ্রেফতার হয়েছিলেন। যে চিঠির সূত্র ধরে ৫ জানুয়ারি সরবেরিয়াতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এবার সেই চিঠির সূত্র ধরেই ইডির নজরে ছিল একটি নাম ‘মুকুল’। যেখানে মুকুল নামে এক ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা ইন্টারেস্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। এখানেই শেষ নয়, এই ‘মুকুল’ নামটি পাওয়া যায় ডিজিটাল এভিডেন্সেও। শুধু এই নামটি নয়, মেলে আরও একটি নাম ‘বিদেশ’।

আরও পড়ুন: নীচে প্রবল স্রোতে বইছে নদী, বাঁচতে গাছের ডালে চারজন! ভাতারে হাড় হিম করা ছবি

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে যে হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, তাতে বিভিন্ন ডিজিটাল ডকুমেন্টসের মধ্যে দুটো ফোল্ডার মেলে। একটি মুকুল ও আরএকটি বিদেশ। সেখানেও ইন্টারেস্ট হিসাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোম্পানিতে মাসে মাসে ১০ লক্ষ টাকা ইন্টারেস্ট হিসাবে জমা করছিল। ব্যালান্স শিটে আলিফ নুূরের নাম উল্লেখ।  আসলে আলিফ নূর হলেন মুকুল এবং আনিসূর রহমান হলেন বিদেশ। শুক্রবার গ্রেফতারের পর আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে দুজনের সন্ধান কীভাবে মিলল তা জানানো হল ইডির তরফে।

সম্প্রতি দুজনের বাড়িতে অভিযানে সরকারি সিল, চালান পাওয়া গিয়েছে। বাকিবুর রহমানের কায়দাতেই এরা দুজন নিজের আত্মীয় পরিচিতদের কৃষক পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে চাল বিক্রির নামে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। আর সেই টাকা থেকেই টাকা গেছে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অ্যাকাউন্টেও দাবি ইডির।