ঝাড়খণ্ড: টানা ১২ ঘণ্টা ধরে ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর পরিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনল ইডি। ৬টি টাকা গোনার মেশিন আনা হয়েছিল। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মন্ত্রী আলমগীর আলমের গৃহ পরিচারিকার বাড়ি থেকে নগদ ৩৫.২৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। শুধু বিপুল নগদ নয়, ‘গোপনীয় চিঠি’-ও উদ্ধার হয়েছে।
মজার বিষয় হল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে যে চিঠি ঝাড়খণ্ড সরকারকে ইডি-ই পাঠিয়েছিল, সেই চিঠিরই একটি অনুলিপি অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। ইডি-র এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারি চিঠিটি অত্যন্ত ‘সংবেদনশীল’ এবং ‘গোপনীয়’। রাজ্য সরকারের সংবেদনশীল নথি ফাঁস হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।
#WATCH | The Enforcement Directorate is conducting raids at multiple locations in Ranchi. Huge amount of cash recovered from household help of Sanjiv Lal – PS to Jharkhand Rural Development minister Alamgir Alam, in Virendra Ram case.
ED arrested Virendra K. Ram, the chief… pic.twitter.com/VTpUKBOPE7
— ANI (@ANI) May 6, 2024
ঠিক একবছর আগের ঘটনা। ২০২৩ সালের ৫ মে ঝাড়খণ্ড সরকারের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠায় ইডি। পিএমএল অ্যাক্ট ২০২২-এর ধারা ৬৬(২)-এর আওতায় রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশাল জোন এবং পল্লী পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কুমার রামের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়। চিঠিয়ে ইডি রাজ্য সরকারকে বিভাগীয় ‘দুর্নীতি’ সম্পর্কে অবহিত করে এবং আইপিএসি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
ইডি অভিযানে অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই সেই চিঠির একটি অনুলিপি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা থেকে ইডি মনে করছে, ঝড়খণ্ড সরকার অভিযুক্তকে সাহায্য করার জন্য চিঠিটা ফাঁস করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, এটা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে; ফাঁস।
চিঠিতে ইডি জানিয়েছিল, “বীরেন্দ্র কুমার রাম এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর অধীনে তদন্ত চালানো হবে। দুর্নীতি দমন ব্যুরো, জামশেদপুর এবং চূড়ান্ত রিপোর্টে দুর্নীতি প্রতিরোধ (পিসি) আইন, ২০১৮-এর ধারা ৭(এ) -এর অধীনে ১৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে এফআইআর নং ১৩/১৯-এর ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। রিপোর্ট নং ০১/২০২০ তারিখ ১১ জানুয়ারি এসিবি জামশেদপুর জমা দিয়েছে।” ইডি আরও জানিয়েছে, পিএমএলএ তদন্তের সময়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যানবাহন, নগদ, গয়না এবং অন্যান্য অপরাধমূলক নথি উদ্ধার হয়েছিল। দুর্নীতি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্ত সম্পত্তি অর্জন করেছেন বীরেন্দ্র কুমার রাম।