হাইকোর্টে ইডি৷

রেশন দুর্নীতির তদন্তেও সিবিআই-এর দাবি, রাজ্য পুলিশে আস্থা হারিয়ে হাইকোর্টে ইডি

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়।  রাজ্য পুলিশের থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার ভার দেওয়া হোক সিবিআইকে, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি ইডির।

নদিয়া ও কলকাতা মিলিয়ে মোট ছ’টি এফআইআর বা মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। রেশন দুর্নীতি অর্থাৎ গম বণ্টন থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছরে যে দুর্নীতিমূলক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, তার জেরে নদিয়া জেলার কোতোয়ালি থানায় দুটি, নবদ্বীপ থানায় একটি ও ধুবুলিয়া থানায় একটি এবং কলকাতার ভবানীপুর ও বালিগঞ্জ থানায় একটি করে মোট ছ’টি মামলা রুজু করা হয়। যার তদন্তের দায়িত্বে ছিল রাজ্য পুলিশ। আর এই পুলিশি তদন্ত নিয়েই একাধিক অভিযোগ সামনে এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

আরও পড়ুন: ২০২২-এর প্রাথমিক নিয়োগে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ, পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতে ইডির আর্জি, রাজ্যের হাতে থাকা ছ’টি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআইকে। এখানেই শেষ নয়, আবেদনে ইডির অভিযোগ, এক তরফা তদন্ত করে গিয়েছে রাজ্য পুলিশ। রেশন বণ্টন ও ধান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি ।

ইডির আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এহেন অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে আবেদন ইডির।

মামলাগুলির কী অগ্রগতি হয়েছে এবং যাঁরা যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ইডির। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই আদালতে জানিয়েছে ইডি।

এখানেই শেষ নয়, বাকিবুর রহমান থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক- এই দুর্নীতির অভিযোগগুলির সঙ্গে তাঁদের যোগসাজস নিয়ে উল্লেখ রয়েছে এই আবেদনে। আবার ইডি সূত্রেই গুরুতর অভিযোগ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তাদের উপর আক্রমণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনই নানান অভিযোগের উল্লেখ করে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, সেই বিষয়টিকেও সামনে আনা রয়েছে হাইকোর্টে জমা পড়া ইডির আবেদনপত্রে।