Tag Archives: ED

Rituparna Sengupta at CGO complex: রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণাকে কী কী প্রশ্ন করতে পারে ইডি? রইল সম্ভাব্য তালিকা

কলকাতা: ইডির কাছে হাজিরা দিতে ইতিমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কেন তলব করা হয়েছে অভিনেত্রীকে? ইডি সূত্রে খবর, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেন নিয়ে এক মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদে ঋতুপর্ণাকে সাহায্য করতে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আইনজীবী।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে কী কী প্রশ্ন করতে পারে ইডি-

কীভাবে কবে থেকে ওই মন্ত্রীর সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ?

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মোট কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে?

কার কার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে?

কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে?

রেশন দুর্নীতি মামলায় (pds) কী ভাবে টাকা এসেছে?

আরও পড়ুন: পুড়ে ছাই জলদাপাড়ার ঐতিহ্যমণ্ডিত হলং বাংলো, মনখারাপ পর্যটকদের

প্রসঙ্গত, আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছিল ইডি। তবে তখন তিনি আমেরিকায় থাকায় সেই দিন হাজিরা দিতে পারেননি, সেই কথা ইডি আধিকারিককে জানিয়েছিলেনও। ৫ তারিখ রাতে তিনি শহরে ফেরেন এবং ইডির কাছে হাজিরার জন্য অন্য একটি দিন রাখতে বলেন। সেই মতো ইডির তরফে অভিনেত্রীকে ১৯ জুন অর্থাৎ আজ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সিজিও কমপ্লেসে এলেন।

Mamata Banerjee: ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলেই ইডি, সিবিআই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! কী ঘোষণা মমতার?

: ইন্ডিয়া জোটের সরকারই যে ক্ষমতায় আসছে, আগেই সেই দাবি করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন, ইন্ডিয়া জোট সরকার ক্ষমতায় এলেই ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে অত্যাচার বন্ধ করে দেবেন তিনি৷ এ দিন আরামবাগের কামারপুকুরের সভা থেকে এমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

চতুর্থ দফার ভোটের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক জনসভায় জোরের সঙ্গে দাবি করছেন, ইন্ডিয়া জোটের সরকারই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে৷ তৃণমূলও যে ইন্ডিয়া জোট সরকারকে সমর্থন করবে, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা৷ তবে যথারীতি এ রাজ্যের কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নেতৃত্বকে গুরুত্বই দিতে চাননি তৃণমূলনেত্রী৷

আরও পড়ুন:মমতার বিরোধিতা করে কংগ্রেসেই কোণঠাসা অধীর? সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড, কড়া বার্তা খাড়গের

এ দিন কামারপুকুরের সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় কোনও জোট নেই।কংগ্রেস-সিপিআইএমের মহাঘোঁট আছে। ইন্ডিয়াটা আমার দেওয়া নাম। যার জন্য মোদিবাবু ইন্ডিয়া নামটা সংবিধান থেকে তুলে দিলেন। আমি বলে দিচ্ছি, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসছে। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে ইডি-র অত্যাচার,সিবিআই- এর অত্যাচার তুলে দেব। যদি দিল্লিতে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে।’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের হেনস্থা করতেই মোদি সরকার ইডি, সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলি৷

বিজেপি যে এবারও মোদি হাওয়ায় ভর করেই ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে, তা তাদের প্রচার কৌশল থেকেই স্পষ্ট৷ মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায় অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘মোদি হাওয়া উধাও৷ এই লোকটাকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। বাংলায় ভুল করেও কংগ্রেস, সিপিআইএমকে ভোট দেবেন না।ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে আমরা একাই একশো। ভোট কাটাকাটি হলে বিজেপির লাভ।’

বাংলায় আসন রফা না হলেও ইন্ডিয়া জোট যে তৃণমূলের সমর্থনের দিকেই তাকিয়ে আছে, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য নস্যাৎ করে কংগ্রেস সভাপতি ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন নিয়ে মমতার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ কামারপুকুরের পর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দলের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সভা থেকেও তিনি ঘোষণা করেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করা হবে৷

ইডি, সিবিআই কাজে লাগিয়ে ভোটে বাড়তি সুবিধে? জবাব দিলেন মোদি, দেখুন ভিডিও

২০১৪ সালে তো কংগ্রেসের হাতেও ইডি, সিবিআই ছিল৷ তার পরেও কেন ভোটে হেরে গেল তারা? নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নই তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর কটাক্ষ, এত বড় দেশ, একটা পুরসভার ভোট ঠিক মতো করাতে পারেন না৷ তাঁরাই আবার ইডি, সিবিআই নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইডি-সিবিআই দিয়ে যে ভোটে জেতা যায় না, তা সাধারণ মানুষও বোঝেন৷ তাঁর কটাক্ষ, নির্বাচনে হারের পর কী অজুহাত নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাবেন. এখন থেকে তা নিয়েই ভাবতে বসেছে বিরোধীরা৷

Sheikh Shahjahan: যারা নেই সেই সব মাছ ব্যবসায়ীদের নামেই কেনা হত জমি, যা আসলে সবই শাহজাহনের, ইডি-র চাঞ্চল্যকর দাবি

কলকাতা: শেখ শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনাতে কয়েকশ কোটি টাকা যা ( ১০৪+ ৩৩ কোটি= ১৩৭ কোটি )  টাকা নয়ছয়! শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনা ফিশারিজে  ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছে ম্যাগনাম এক্সপোর্ট নামে কোম্পানি থেকে , এটা ঢুকেছে ২০২১-২২ এবং  ২০২২- ২৩ সালে।

শাহজাহান ঘনিষ্ঠের থেকে শাজাহানের কোম্পানিতে ৩৩ কোটি টাকা ঢোকে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে। মোট ১৩৭ কোটি টাকা কোথা থেকে কি জন্য ঢুকেছিল কোম্পানিতে? এতো কোটি কোটি লেনদেন মধ্যে কালো টাকা সাদা হত? এই ঘটনার তদন্তে ইডি। শেখ শাজাহানের সিন্ডিকেটের ১১ জন ভুয়ো মাছ ব্যাবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট  কন্ট্রোল ও ম্যানেজ করতো শেখ শাজাহান নিজেই – এমনটাই ED সূত্রে খবর।

  শাজাহানের নির্দেশেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে  কত টাকার লেনদেন হবে তা নির্ধারিত হতো। শাজাহানের নির্দেশেই সিন্ডিকেটের ভুয়ো মাছ ব্যবসায়ীদের  নামে  জমি কেনা হতো। ওই  বেনামি প্রপার্টির আসল মালিক শেখ শাহাজান। শাজাহান কীভাবে টাকা নয়ছয় করতেন? ইডির দাবি, আদিবাসীদের বিভিন্ন ভেড়ি , জমির ছিনিয়ে নিয়ে শাহাজাহানকে জমি ব্যাবহার করতে দিত নাগদ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু ওই টাকা সরাসরি শাহাজাহান নিত না।

পাশাপাশি ভুয়ো চিংড়ি মাছ সাপ্লায়ারদের  সিন্ডিকেটকে ওই জমি ব্যবহারকারী টাকা দিয়ে দিতেন। এরপর  মাছ ভুয়ো সাপ্লায়রদের থেকে মাছ কিনতো শাজাহান এর কোম্পানি ( S K sabina fishary )।  এর বদলে ওই টাকা ভুয়ো চিংড়ি মাছ ব্যাবসায়ীরা এসকে সাবিনা কোম্পানি মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে কোম্পানি অ্যাকাউন্টে ঢুকত।  আসলে ওই টাকার কন্ট্রোল ছিল শাজাহানের । জমি হাতিয়ে কালো টাকা অনায়াসে সাদা করে  হাতিয়ে নিত শাজাহান।

ইডি সূত্রে খবর প্রায় ১১ জন ভুয়ো চিংড়ি সাপ্লাইর এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছে এবং এই ১১ জনের নামে জমি আছে যা আসলে শাহজাহানের । এই ১১ জনকে ইডির তরফে চিহ্নিত করা গেছে । 11 জনের নামের লিস্ট রয়েছে ইডির কাছে। শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে এই ১১ জনের বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি ইডির।

ARPITA HAZRA

ED summons Aroop Biswas: এবার অরূপ বিশ্বাসকে তলব ইডির, আগামিকালই দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ!

কলকাতা: অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড মামলার তদন্তে এবার তৃণমূল শীর্ষ নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করল ইডি৷ আগামিকালই তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর৷ যদিও রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী পাল্টা ইডির কাছ থেকে সময় চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ ইডি সেই সময় দেবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়৷

অ্যালকেমিস্ট মামলায় অনেক দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ এবং সংস্থার কর্ণধার কে ডি সিং-কে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ এই মামলায় কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি৷

আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই লুকিয়ে শাহজাহান? আনা হয়েছে গতকাল রাতে, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর!

ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসেবেই অরূপ বিশ্বাসকে তলব করা হয়েছে৷ তবে এ বিষয়ে এখনও তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷

সারদা, রোজভ্যালির মতোই অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে সাধারণ মানুষের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে৷ তৃণমূল সূত্রে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের তাদের চাপে ফেলতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে তলব করা হচ্ছে৷

দেবকে দিল্লিতে তলব ইডি-র, দেখুন ভিডিও

গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তের সূত্রে এবার ঘাটালের সাংসদ এবং অভিনেতা দেবকে দিল্লিতে তলব করল ইডি৷ আগামী সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে৷

ED summons Mahua Moitra: এবার মহুয়াকে তলব ইডি-র, দুই এজেন্সির সাঁড়াশি চাপে বহিষ্কৃত সাংসদ

কলকাতা: এবার মহুয়া মৈত্রকে তলব করল ইডি৷ বিদেশী মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ আইনে তলব করা হয়েছে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদকে৷ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ইডির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে৷

প্রশ্নের বিনিময়ে উপহার নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংসদের এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই সাংসদ পদ হারাতে হয় মহুয়াকে৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মহুয়া সিবিআই-এর পাঠানো প্রশ্নের জবাব পাঠিয়েছেন৷ সেই প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখে লোকপালের কাছে রিপোর্ট পাঠাবে সিবিআই৷ লোকপালের সুপারিশেই মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই৷

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর জেলা থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু দিলীপের, পদ্ম এঁকেই ছুড়লেন হুঙ্কার

সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনি পদক্ষেপ করেছেন মহুয়াও৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তিনি৷ মহুয়ার পাশে রয়েছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও৷ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকেই মহুয়াকে ফের প্রার্থী করবে দল৷

এ দিনই তৃণমূল সাংসদ দেবকেও দিল্লিতে গরু পাচার মামলায় তলব করেছে ইডি৷ অ্যালকেমিস্ট মামলাতেও মুকুল রায়কে তলব করেছে ইডি৷

Mukul Roy: ইডির তলব দিল্লিতে, যাবেন অসুস্থ মুকুল? জানিয়ে দিলেন শুভ্রাংশু

কলকাতা: মুকুল রায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি৷ অ্যালকেমিস্ট মামলায় দিল্লিতে তলব করা হয়েছে মুকুল রায়কে৷ যদিও মুকুল রায়ের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়৷ তবে শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে এসে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সবরকম সহযোগিতা করা হবে৷

অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে চলা এই মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিং৷ এই মামলায় প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ অভিযোগ, বেআইনি ভাবে বাজার থেকে টাকা তুলেছিল অ্যালকেমিস্টের একটি সংস্থা৷

আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে আসুন’, দেবকে ডেকে পাঠাল ইডি! ‘বড়’ দুর্নীতিতে তলব, ডাক আরেক TMC বিধায়ককেও

তলব প্রসঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘বাবার শরীর খুবই খারাপ৷ তিনি কোনও কিছুই মনে রাখতে পারেন না৷ বাবার পক্ষে এখন দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়৷ তবে ইডি যদি বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তাহলে সবরকম সহযোগিতা করব৷’

গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ হঠাৎই দিল্লি চলে যান মুকুল৷ সেই সময় মুকুলের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছিল৷ তখনও শুভ্রাংশু দাবি করেছিলেন, মুকুল অসুস্থ৷ কিছুদিন দিল্লিতে কার্যত আত্মগোপন করে থাকার পর কলকাতায় ফিরে আসেন মুকুল৷ তখনও তাঁর মুখে অসংলগ্ন কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল৷ তার পর থেকে কার্যত অন্তরালেই রয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক৷

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন মুকুল৷ এর কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি৷

Kapil Sharma: কপিল শর্মা পৌঁছলেন ED দফতরে, আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে জারি সমন, কী হচ্ছে কমেডিয়ানের সঙ্গে?

কৌতুক অভিনেতা কপিল শর্মা, যিনি দেশ ও বিশ্বে নিজের একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন, সেই কপিল শর্মা নিজেই পৌঁছে গেলেন ইডি দফতরে। জানা গিয়েছে যে, কপিল শর্মা ইডিকে বলেছেন গাড়ির ডিজাইনার দিলীপ ছাবরিয়া তাঁর অর্ডার দেওয়া একটি ভ্যানিটি ভ্যান সরবরাহ করেননি। গাড়ির ডিজাইনার দিলীপ ছাবরিয়া, অনেক সেলিব্রিটিদের প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। কপিল শর্মা অভিযোগ করেছেন যে গাড়িটি সরবরাহ না করার জন্য তাঁকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কপিল শর্মা আরও অভিযোগ করেছেন যে, ছাবরিয়া গাড়িটি সরবরাহ করেননি এবং অবৈধ উপায়ে তাঁর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অনুমোদিত প্রতিনিধি মহম্মদ হামিদ কৌতুক অভিনেতা কপিল শর্মার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন, মানি লন্ডারিং মামলায় ছাবরিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটের অংশ হিসাবে। বুধবার এই মামলার শুনানির বিশেষ পিএমএলএ আদালতে এবং এই মামলায় ছাবরিয়া এবং অন্য ছয়জন আসামিকে সমন জারি করা হয়। তাঁকে ২৬ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে বলা হয়েছে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে কপিল শর্মাকে নিয়ে। কারণ তিনি একজন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা। অনেকেই বুঝতে পারছে না, কেন তিনি নিজেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে গেলেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পুরো বিষয়।

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

পুরো ব্যাপারটা কী –

ইডি মামলাটি কপিল শর্মার দায়ের করা জালিয়াতির মামলা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। ED-এর সামনে বিবৃতি দেওয়ার জন্য কৌতুক অভিনেতার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে কপিল শর্মা K9 প্রোডাকশনের মালিক হিসাবে একটি ভ্যানিটি ভ্যান কেনার জন্য ডিসেম্বর ২০১৬-এ ছাবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে, K9 প্রোডাকশন এবং দিলীপ ছাবরিয়া ডিজাইন প্রাইভেট লিমিটেড (DCDPL) এর মধ্যে একটি ভ্যানিটি ভ্যান ডেলিভারির জন্য ৪.৫ কোটি টাকার (কর ব্যতীত) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

টাকা নিয়েও ভ্যান ডেলিভারি করেনি –

বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে শর্ত অনুসারে, কপিল শর্মার প্রোডাকশন হাউস ৫.৩১ কোটি টাকা (কর সহ) প্রদান করেছে। হামিদ তদন্তকারী সংস্থাকে বলেছেন যে, ডিসিডিপিএল কপিল শর্মাকে ভ্যানিটি ভ্যান দেয়নি এবং কোনও টাকাও ফেরত দেয়নি। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, গাড়ির বিতরণে বিলম্বের জন্য শর্মাকে দায়ী করে আরও অর্থ দাবি করা হয়েছিল।

রেশন দুর্নীতির তদন্তেও সিবিআই-এর দাবি, রাজ্য পুলিশে আস্থা হারিয়ে হাইকোর্টে ইডি

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়।  রাজ্য পুলিশের থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার ভার দেওয়া হোক সিবিআইকে, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি ইডির।

নদিয়া ও কলকাতা মিলিয়ে মোট ছ’টি এফআইআর বা মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। রেশন দুর্নীতি অর্থাৎ গম বণ্টন থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছরে যে দুর্নীতিমূলক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, তার জেরে নদিয়া জেলার কোতোয়ালি থানায় দুটি, নবদ্বীপ থানায় একটি ও ধুবুলিয়া থানায় একটি এবং কলকাতার ভবানীপুর ও বালিগঞ্জ থানায় একটি করে মোট ছ’টি মামলা রুজু করা হয়। যার তদন্তের দায়িত্বে ছিল রাজ্য পুলিশ। আর এই পুলিশি তদন্ত নিয়েই একাধিক অভিযোগ সামনে এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

আরও পড়ুন: ২০২২-এর প্রাথমিক নিয়োগে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ, পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতে ইডির আর্জি, রাজ্যের হাতে থাকা ছ’টি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআইকে। এখানেই শেষ নয়, আবেদনে ইডির অভিযোগ, এক তরফা তদন্ত করে গিয়েছে রাজ্য পুলিশ। রেশন বণ্টন ও ধান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি ।

ইডির আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এহেন অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে আবেদন ইডির।

মামলাগুলির কী অগ্রগতি হয়েছে এবং যাঁরা যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ইডির। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই আদালতে জানিয়েছে ইডি।

এখানেই শেষ নয়, বাকিবুর রহমান থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক- এই দুর্নীতির অভিযোগগুলির সঙ্গে তাঁদের যোগসাজস নিয়ে উল্লেখ রয়েছে এই আবেদনে। আবার ইডি সূত্রেই গুরুতর অভিযোগ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তাদের উপর আক্রমণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনই নানান অভিযোগের উল্লেখ করে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, সেই বিষয়টিকেও সামনে আনা রয়েছে হাইকোর্টে জমা পড়া ইডির আবেদনপত্রে।