বাইক, স্কুটি বিক্রি হচ্ছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনে! অনলাইন কিনলে লাভ কী? জেনে নিন

কলকাতা: সে এক দিন ছিল। পুজো, পার্বন বা উৎসবের মরশুমে সপরিবারে কেনাকাটা করতে বেরতেন বাড়ির কর্তা। এর পোশাকি নাম ছিল ‘মার্কেটিং’। জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাসনকোসন, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, বাদ যেত না কিছুই। এখনও ‘মার্কেটিং’য়ে বেরয় আমজনতা। তবে সংখ্যায় অনেক কম।

ঘুরে ঘুরে কেনাকাটার দিন শেষ। এখন বিপুল পণ্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে ই-কমার্স সাইট। আলপিন টু এলিফ্যান্ট, সব মিলবে। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে ভিড় ঠেলে দোকানে দোকানে ঘুরতেও হবে না।

আরও পড়ুন- জানেন কি পৃথিবীতে মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর কোনটি? নামটা শুনে চমকে উঠবেনই

বাড়ির সোফায় বসে, ঠান্ডা হাওয়া খেতে খেতে মোবাইলে চোখ বুলোলেই হবে। একের পর এক প্রোডাক্ট হাজির। আঙুলের ছোঁয়ায় কিনে ফেললেই হল।

এখন কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, ই-কমার্স সাইট থেকে কী আর মানুষ সবকিছু কেনে? বাজারে তো যেতেই হবে। এর উত্তর হল, হ্যাঁ, সবকিছুই কেনে। এমন এমন জিনিস কেনে যা শুনলে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। যেমন ধরা যাক বাইক।

এতটা শুনেই চোখ কপালে উঠেছে? ভাবছেন, বাইক আবার কেউ ই-কমার্স সাইট থেকে কেনে না কি! এটা তো শোরুম ঘুরে, মাইলেজের তুল্যমূল্য বিচার করে, দাম বুঝে তারপর কেনাকাটা করতে হয়। আজ্ঞে না। এই ধারণা ভুল। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যামাজনে বৈদ্যুতিক টু হুইলারের বিক্রি বেড়েছে ২৫০ শতাংশ।

আরও পড়ুন- চকলেট বোম,পটকা বাজির নাম কেন হল বুড়ীমা! এই ‘বুড়ীমা’ আসলে কে? জানলে অবাক হবেন

অ্যামাজনে প্রথমে ই-স্কুটিই বিক্রি শুরু হয়। চাহিদা দেখে এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম পেট্রোল চালিত বাইকও বিক্রি করছে। এমনটাই জানালেন অ্যামাজনের হোম, কিচেন এবং আউটডোর্স বিভাগের ডিরেক্টর কে এন শ্রীনাথ।

তিনি বলছেন, “অ্যামাজনে বৈদ্যুতিক টু হুইলারই বেশি বিক্রি হচ্ছে, প্রায় ৭০ শতাংশ। পেট্রোল চালিত বাইক বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, ৩০ শতাংশ। হয়।”

পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতারাও কী ই কমার্স সাইট থেকে ই-স্কুটার বা বাইক কেনেন? এর উত্তর, হ্যাঁ। অ্যামাজন থেকে পশ্চিমবঙ্গে ই-স্কুটার বিক্রি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

আর শুধু কলকাতার কথা বললে, এই পরিমাণ ২৫ শতাংশ। সোজা কথায়, কলকাতাবাসী শোরুমে গিয়ে ই-স্কুটার কেনার বদলে ই-কমার্স সাইট থেকে কিনতেই বেশি পছন্দ করছেন। অন্তত পরিসংখ্যান তো তাই বলছে।

কে এন শ্রীনাথ বলছেন, “যে সব স্কুটারের স্পিড বেশি। রাস্তায় চালাতে গেলে লাইসেন্সের প্রয়োজন। সেই সব স্কুটারের বিক্রি বেশি।” ক্রেতাদের মন বুঝে ওলা, এথার এনার্জির মতো নামীদামি সংস্থা অ্যামাজনে তাদের স্কুটি বিক্রি শুরু করেছে।

চেতক ৩২১০–এর মতো বেশ কিছু স্কুটি লঞ্চও হয়েছে এই ই কমার্স প্ল্যাটফর্মেই। কারণ একটাই, হু হু বিক্রি। লালমোহনবাবুর ভাষায় বলতে গেলে, “সেলিং লাইক হট কচুরিস।” অনলাইনে বেশ কিছু বাড়তি ডিসকাউন্ট পেতে পারেন কিন্তু।