হৃদয় জিতল ইস্টবেঙ্গল, মুম্বইকে নাটকীয় ম্যাচে হারিয়ে ডুরান্ড অভিযান শেষ লাল হলুদের

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -৪
মুম্বই সিটি এফসি -৩

#কলকাতা: সব ভাল যার শেষ ভাল তার। কথাটা হয়তো সত্যি ইস্টবেঙ্গল দলের ক্ষেত্রে। শনিবার নাটকীয় ম্যাচ হল ডুরান্ড কাপে। ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-কে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরসুমে এটাই তাদের প্রথম জয়। প্রথম গোলও এল এই ম্যাচেই। জোড়া গোল সুমিত পাসি এবং ক্লেটন সিলভার।

এই মরসুমের প্রথম বার স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের ছেলেদের খেলা মন জয় করে নিল। প্রথমার্ধেই ছ’গোল হয়ে যায়। ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মুম্বই সিটি, দু’দলই তিনটি করে গোল দেয়। প্রথম থেকে দু’দলই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। আগের ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করলেও শনিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশে সুমিত পাসিকে রেখেছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। সেই সুমিতই এ মরসুমে লাল-হলুদের প্রথম গোলটি করলেন।

বাঁ দিক থেকে আলেক্স লিমার পাস উড়ে এসেছিল। বক্সের মধ্যে সেই বলে হেডে গোল করেন সুমিত। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির দিকে তাকিয়ে এর পরেই হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল তাঁকে। হয়তো এটিকে মোহনবাগান ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করার জন্যই। পাঁচ মিনিট পরেই আবার এগিয়ে যায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল।

বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় লাল-হলুদ। ডান পায়ের শটে বিপক্ষ গোলকিপার মহম্মদ নওয়াজকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লেটন। কিছু ক্ষণ পরেই এক গোল শোধ করে মুম্বই। বাঁ দিক থেকে বিপিন সিংহ বল ভাসিয়েছিলেন লাল-হলুদ বক্সে। জর্জে দিয়াস বুক দিয়ে বল নামিয়ে দেন। চলতি বলে দুরন্ত শটে গোল গ্রেগ স্টুয়ার্টের।

৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন সুমিত। নওয়াজ বল বাঁচাতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন। পরের মিনিটেই গোল হজম করে লাল-হলুদ। রক্ষণের ভুলে গোল করেন মুম্বইয়ের লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। বিরতির কিছু ক্ষণ আগে সমতা ফেরান তিনি।

আগের ম্যাচগুলিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের ফুটবলাররা খারাপ খেলেননি। শনিবার ঝড়ের বেগে মুম্বইয়ের প্রতি আক্রমণের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি কিরিয়াকুরা। রক্ষণের খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের অভাবও ধরা পড়ে একাধিক বার।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোলের জন্য ঝাঁপায়। তবে এ বার নিজেদের দুর্গ অটুট রাখে লাল-হলুদ। প্রতি আক্রমণে জয়সূচক গোল তুলে নেয় তারা। বাঁ দিক থেকে বল বাড়িয়েছিলেন অমরজিৎ সিংহ কিয়াম। সেই পাস থেকে চলতি বলেই গোল করেন ক্লেটন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রিয় দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা কিছুটা বেড়ে গেল।