হামেশাই কি একঘেয়ে লাগছে? খুব শর্ট ভিডিও দেখেন? গবেষণা কী বলছে, শুনে নিন

কলকাতা: হামেশাই কি একঘেয়ে লাগছে? যে বিষয়গুলিতে আগ্রহ ছিল, সেই বিষয়গুলির প্রতি আর আগ্রহ জাগছে না? কিন্তু এর কারণ কী হতে পারে!

আসলে এক্ষেত্রে খলনায়কের অবতারে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রোলিং। বিষয়টা সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলা যাক। ইনস্টাগ্রাম রিল এবং ইউটিউবে ক্রমাগত স্ক্রোল করার কারণেই আজকাল সব জায়গা থেকে যেন আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে।

আমরা জানি যে, ইনস্টাগ্রাম রিল বা ইউটিউব শর্টস-এর মাধ্যমে অবিরাম ব্রাউজ করার সময় দেখার জন্য আকর্ষণীয় কিছু খুঁজে পাওয়া কিন্তু একটি সুযোগের বিষয় মাত্র!

আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত ছিল হাওড়া! বুধবার বিজেপির ডাকা বনধে কী ছবি জেলায়?

Fast-Forward to Boredom: How Switching Behaviour on Digital Media Makes People More Bored নামে একটি নয়া গবেষণা প্রকাশ করেছেন টরোন্টো স্কারবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাতে বলা হয়েছে যে, চিত্তাকর্ষক ভিডিও-র সন্ধানে স্ক্রোল করতে গিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আরও একঘেয়েমি চলে আসছে।

এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ড. কেটি টাম বলেন যে, একঘেয়েমির সঙ্গে মনোযোগের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, একঘেয়েমি এবং ডিজিটাল মিডিয়া কনজাম্পশনের প্যারাডক্সিক্যাল সম্পর্কের কথাও। YouTube বা TikTok-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলির ভিডিওগুলির মধ্যে কিংবা এর মধ্যে ঘন ঘন স্যুইচ করার কাজটি কীভাবে হয়, তা বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে এই গবেষণায়। যেটা মূলত একঘেয়েমি কাটানোর জন্যই করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয় না। বরং একঘেয়েমি আরও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন- কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বাংলা বনধ কি আদৌ সফল

দ্য গার্ডিয়ান-এর কাছে ড. টাম বলেন যে, মানুষ যখন একের পর এক ভিডিও স্যুইচ করেন, তখন ভিডিও-র প্রতি আগ্রহ কমতে থাকে। আরও আরও চিত্তাকর্ষক ভিডিও-র সন্ধান করতে থাকেন তাঁরা। এতে একঘেয়েমির অনুভূতি আরও বাড়তে শুরু করে।

১২০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর উপর মোট ৭টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকেরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, ক্রমাগত ভিডিও স্যুইচিং একঘেয়েমি বাড়িয়ে দিয়েছে।

সেই সঙ্গে মানুষের সন্তুষ্টির মাত্রাও কমিয়ে দিয়েছে। ওই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ১৬৬ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েটও। যখন তাঁদের একটি ভিডিও স্কিপ করতে বলা হয়েছে, তখন তাঁরা সেটা করেননি। বরং আরও একঘেয়েমির অনুভূতি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। গবেষণার আরও একটি দলে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৫৯ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট। তাঁদের ৫ মিনিটের ভিডিও দেখতে বলায় তাঁরা একঘেয়ে বোধ করছিলেন।

গবেষণা দলটির বক্তব্য, অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে ভেবেছিলেন যে, ভিডিও স্যুইচ করে দেখলে হয়তো দেখার অভিজ্ঞতা আরও ভাল হবে। অথচ গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিপরীতমুখী ফলাফল!

গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, একের পর এক কন্টেন্ট স্যুইচ করতে করতে মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি দেখা দেয়। ভিডিওগুলি চিত্তাকর্ষক হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে পুরোপুরি ভাবে মগ্ন হতে পারেন না ব্যবহারকারীরা। যা অসন্তোষ এবং একঘেয়েমি বয়ে আনে।