ভারতীয় সঙ্গীতের আঙিনায় ৫০ বছর। ভারতীয় সিনেমায় প্রেমের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে তাঁর কণ্ঠস্বর। উস্তাদ বিলায়ত খান, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল, শচীন দেব বর্মণ, লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, কিশোর কুমার এবং আরডি বর্মনের মতো কিংবদন্তি সুরকার এবং গায়কদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
পরবর্তীকালে সোনু নিগম, বাপ্পি লাহিড়ি, অনু মালিক, নাদিম-শ্রাবণের মতো সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। হিন্দি, বাংলা, কন্নড়, রাজস্থানী, ভোজপুরি, তেলুগু, ওড়িয়া, মারাঠি, ইংরেজি, তামিল, মালয়লাম, গুজরাতি, নেপালি, অসমীয়া, কোঙ্কানি, পঞ্জাবি, উর্দু-সহ ৪৫টি ভাষায় ৫০,০০০টি গান গেয়েছেন।
এই গায়িকা তিন দশক ধরে শারীরিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন। কিন্তু সে কারণে গান গাওয়া ছেড়ে দিতে চাননি তিনি। সেই গায়িকার নাম, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। ভারতীয় প্লেব্যাক এবং ক্লাসিক্যালের উচ্চপ্রশংসিত গায়িকা।
১৯৭৬ সালে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্লেব্যাক গানের কেরিয়ার শুরু হয়। দিল্লিতে একটি তামিল আইয়ার পরিবারে শারদা হিসাবে জন্ম। বাবা, টিএস কৃষ্ণমূর্তি শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক। এক আত্মীয়ার জোরাজুরিতে সুরমা বসুর কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
কবিতা শাস্ত্রীয় গায়ক বলরাম পুরীর নির্দেশনায় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মাত্র আট বছর বয়সে, কবিতা একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ধীরে ধীরে ছবির জগতে গানের ডেমো থেকে প্লেব্যাক গাওয়া, পুরস্কার জেতার পর কবিতাকে এক নামেই সকলে চিনতে শুরু করে।
১৯৯৯ সালে ১১ নভেম্বর বিখ্যাত বেহালাবাদক এবং সুরকার সুব্রহ্মণ্য লক্ষ্মীনারায়ণকে বিয়ে করেন। কবিতা কখনওই বিয়ের কথা ভাবেননি, তাঁর বিশ্বাস ছিল, চিরকাল ব্যাচেলর থাকবেন। কিন্তু শ্রী সত্য সাঁই বাবা তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার সঙ্গীতের কারণেই তোমার সঙ্গে কারও দেখা হবে এবং তুমি বিয়ে করবে। আর কোনও প্রশ্ন নেই।’’
সুব্রহ্মণ্য এবং কবিতা একটি গানে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ও প্রেম। আগের পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যের চার সন্তান। স্ত্রী ভিজি সুব্রহ্মণ্যর মৃত্যুর পরথেকে সিঙ্গেল ফাদার হিসেবে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন সামলিয়ে যাচ্ছিলেন একা।
কবিতা আসার পর তাঁর সন্তানদের সঙ্গে খুব সুন্দর ভাবে মিশে গিয়েছিলেন। সুব্রহ্মণ্য যখন কনসার্টে যেতেন, তখন কবিতাই তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
কবিতা জানিয়েছিলেন, গত ৩০-৩৫ বছর ধরে ব্রঙ্কিয়াল সর্দি এবং সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বললেন, ‘‘আমার সাইনাসের সমস্যা আছে… কখনও কখনও, আমি এমনকি হাঁপানিতেও ভুগছি, কিন্তু তা বলে কখনওই গান গাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা অনেকবার লড়েছি। প্রতিবারই জিতেছি এবং এর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’’কবিতা জানিয়েছিলেন, গত ৩০-৩৫ বছর ধরে ব্রঙ্কিয়াল সর্দি এবং সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বললেন, ‘‘আমার সাইনাসের সমস্যা আছে… কখনও কখনও, আমি এমনকি হাঁপানিতেও ভুগছি, কিন্তু তা বলে কখনওই গান গাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা অনেকবার লড়েছি। প্রতিবারই জিতেছি এবং এর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’’
Post navigation
Just another WordPress site