মাত্র ৪০ দিনে ৭ বার সাপের কামড় খেলেন যুবক

মাত্র ৪০ দিনে ৭ বার সাপের কামড় খেলেন যুবক; আতঙ্কে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা, তাজ্জব জেলা প্রশাসনও

ফতেহপুর: বিগত ৪০ দিনে ১-২ বার নয়, মোট ৭ বার একটি সাপের কামড় খেয়েছেন উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার মালওয়া থানা এলাকার সৌরা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ দুবে। এমনকী, এই ঘটনায় তাজ্জব সেই চিকিৎসক, যিনি প্রত্যেকবার বিকাশের চিকিৎসা করেছেন! আর এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই জেলা প্রশাসন বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। স্বাস্থ্য দফতর, বন দফতরও ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করে গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। ডা. জওহরলাল নামে যে চিকিৎসক বিকাশের চিকিৎসা করেছেন, তাঁর হাসপাতালে ইতিমধ্যেই দলবল নিয়ে পৌঁছেছেন ডিএফও রামানুজ ত্রিপাঠী।

আরও পড়ুন– দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে মৃতদেহে ঠাসা মালগাড়িতে চেপে পৌঁছেছিলেন ভারতে; আজ তিনিই ৮০০০ কোটি টাকা মূল্যের সংস্থার মালকিন

রাম সানেহি মেমোরিয়াল হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে ডিএফও-র। কথাবার্তার সময় চিকিৎসক জানান যে, বিকাশ যখনই সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে এসেছেন, তখনই তাঁকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। ডিএফও রামানুজ ত্রিপাঠী বলেন, “আমাদের দলকেও বিকাশের বাড়িতে পাঠানোর কথা। কিন্তু জানা গিয়েছে যে, তাঁর বাড়িতে ঝুলছে তালা। বিকাশ তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোথাও গিয়েছেন। পরে তাঁর বাড়িতে যাওয়া হবে। সেখানে সাপ থাকলে তা উদ্ধার করা হবে।”

আরও পড়ুন- প্রায় ৫৮৬ ফুট গভীর গুহার গহ্বরের নিকষ অন্ধকার চিরে নামছে ক্যামেরা; ভাইরাল ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখে আতঙ্কিত নেটিজেনরাও

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দল যখন বিকাশের কাকা রাধাকৃষ্ণ দুবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে, তখন তিনি আমাদের জানান যে, কালসর্প দোষ কাটাতে কিছু টোটকা বাতলে দিয়েছেন এক তান্ত্রিক। এরপরেই তিনি তাঁর ভাইপো বিকাশকে নিয়ে চিত্রকূটে যান। সেখানে রামঘাটে মন্দাকিনী নদীতে ডুব দিয়ে তাঁরা কামতানাথ স্বামী এবং হনুমানধারা দর্শন করেছেন। এরপরের দিন সকালে তাঁরা মেহান্দিপুর বালাজি দর্শনে যাওয়ার কথাও বলেন। এরপর সেখানে প্রার্থনা সেরেই বাড়ি ফিরবেন বলে জানান।”

বছর চব্বিশের বিকাশ দুবে দাবি করেছেন যে, ৪০ দিনে তাঁকে সপ্তম বার সাপে কাটল। আর প্রত্যেক বার সাপে কাটার আগে তিনি বিপদের গন্ধ পান। বিশেষ করে শনিবার এবং রবিবারই সাপের কামড় খান তিনি। তবে এবার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি। সেই সময় বিকাশ ছিলেন নিজের কাকার বাড়িতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাম সানেহি মেমোরিয়াল হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। এরপরের দিনই তাঁর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এহেন অকল্পনীয় ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন বিকাশের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা আপাতত সরকারি সাহায্য চাইছেন।