#নয়াদিল্লি: ভারতের সামরিক ইতিহাস দেখতে গেলে আজ পর্যন্ত এদেশের সবচেয়ে বড় পার্টনার ছিল রাশিয়া। এখনও রয়েছে। মিগ, সুখই থেকে একে ৪৭ রাইফেল, এমআই ৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার, রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত।
এখনও এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম রাশিয়া থেকে পাওয়ার কথা ভারতের। অস্ত্রশস্ত্র বা টেকনোলজি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে তারপর কিছুটা উল্লেখ করতে হবে ফ্রান্স এবং ইজরায়েলের কথা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ভারতের সামরিক পার্টনার হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বোইং নির্মিত অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হোক বা এম ৭৭৭ কামান, সিগ রাইফেল হোক বা এফ ফিফটিন এক্স নিয়ে আলোচনা, রাশিয়ার একচেটিয়া বাজারে এখন ভাগ বসিয়েছে মার্কিনিরা। এই তালিকায় রাখতে হবে চিনুক হেলিকপ্টারকেও।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অ্যাডভান্সড মেরিটাইম হেলিকপ্টার এম এইচ ৬০ রোমিওর ছবি প্রকাশ করল লকহিড মার্টিন। মোট ২৪ টি হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। পরের বছরের শুরুর দিকেই নৌবাহিনীর কাছে এই হেলিকপ্টারের সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। যেভাবে ভারত মহাসাগরে নিজের আধিপত্য বাড়িয়েছে চিন, তার পাল্টা দিতে এই হেলিকপ্টার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল ভারতের। শুধু আক্রমণ করাই নয় প্রয়োজনে রোমিও উদ্ধার কার্য চালাতেও পারে।
সমুদ্রে সাইলেন্ট কিলার নামে পরিচিত এই হেলিকপ্টার। জলের নীচে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন হোক বা শত্রুপক্ষের জাহাজ, রোমিওর আক্রমণ থেকে নিস্তার নেই কারও। ৭:২ ব্যারেল গান ছাড়াও অত্যাধুনিক হেলফায়ার এবং ৫৪ টর্পেডো মিসাইল লোড করা যায় এই কপ্টারে। একসঙ্গে তিনটি টার্গেট এনগেজ করার ক্ষমতা রয়েছে। অত্যাধুনিক ককপিট, আটটি সেন্সর এবং আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম থাকায় আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি শত্রুপক্ষের রাডারকেও ফাঁকি দিতে সিদ্ধহস্ত এই মার্কিন হেলিকপ্টার।চিনের নৌসেনা পৃথিবীর বৃহত্তম। জাহাজ, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার মিলিয়ে আমেরিকার থেকেও তাদের বেশি সংখ্যক অস্ত্র রয়েছে।
This #NavyDay, we are proud to share the first look of the #IndianNavy’s #MH60R in all its glory. #RomeoForIndia ??#NavyDay2020 pic.twitter.com/vZoOgFq4DH
— Lockheed Martin India (@LMIndiaNews) December 4, 2020
এছাড়াও পাকিস্তানকে আধুনিকতম ৮ টি সাবমেরিন দিতে চলেছে চিন। লক্ষ্য ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরা। ভারতের হাতে সমুদ্র থেকে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়ার তৈরি মিগ ২৯ কে বিমান রয়েছে। কিন্তু তার কার্যকারিতা নিয়ে মাঝে মাঝে নিজেরাই সন্দেহ প্রকাশ করেন নৌ বাহিনীর লোকজন। কথাবার্তা ঠিকঠাক এগোলে রাশিয়ান বিমানগুলোকে অবসরে পাঠিয়ে মার্কিন এফ ১৮ হর্নেট আসতে পারে নৌবাহিনীর ডেরাতে। রোমিওর সবচেয়ে বড় সুবিধা নৌবাহিনীর জন্য নেওয়া হলেও প্রয়োজনে বিমান বাহিনী এমনকি সেনাবাহিনীও তা ব্যবহার করতে পারবে।
Rohan Roy Chowdhury