ফিটনেস ব্যান্ড নাকি স্মার্ট ওয়াচ? দেখতে তো দুটোই প্রায় একরকম! তা হলে কোনটা কিনবেন?

কলকাতা: ফিটনেস ট্র্যাক্যার হল একটি ব্যান্ড। যার মধ্যে থাকে একাধিক সেন্সর। আর সেই সেন্সরগুলিই ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ডেটা সরবরাহ করে। অন্যদিকে স্মার্টওয়াচে একটি স্ক্রিন থাকে, যেটা ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের এক্সটেনশন।

কবজিতে ঘড়ির মতো পরে নিলে সেই স্ক্রিনেই দেখে নেওয়া যাবে টেক্সট, ই-মেল। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় কী হচ্ছে, সেটাও একঝলকে দেখে নেওয়া সম্ভব!

তবে গত কয়েক বছরে এই দু’টি ডিভাইস এক হয়ে গিয়েছে। ফলে ফিটনেস ট্র্যাকার আরও জটিল হয়েছে। একটি স্ক্রিন থাকে এর মধ্যে। এমনকী স্মার্টফোনের নোটিফিকেশনও এখান থেকে দেখে নেওয়া যায়। আর স্মার্টওয়াচও ঝুঁকেছে ফিটনেসের দিকে।

আরও  পড়ুন- ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, এবার এই বিরাট বদল আনছে WhatsApp

আজকের দিনে Jawbone এবং Pebble-এর মতো ফিটনেস ট্র্যাকারের পুরনো মডেলগুলি বিলুপ্তপ্রায়। অন্যদিকে আবার আজকাল ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে সবথেকে জনপ্রিয় ডিভাইস Apple Watch আদতে কিন্তু স্মার্টওয়াচ!

স্মার্টওয়াচে রয়েছে অনেক ফিচার:

ফিটনেস ট্র্যাকার এবং স্মার্টওয়াচের মধ্যে মূল পার্থক্য লুকিয়ে রয়েছে ফিচারের ক্ষেত্রেই। সাধারণত স্মার্টওয়াচে ফিটনেস ট্র্যাকারের মতো ট্র্যাকিং ফিচার থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল- হার্ট রেট সেন্সরস এবং হেলথ ট্র্যাকিংয়ের জন্য বিল্ট-ইন জিপিএস। সেই সঙ্গে থাকে কোচিং ও স্পেসিফিক ওয়ার্কআউট ট্র্যাকিংও। যা শুধুমাত্র অ্যাডভান্সড ফিটনেস ট্র্যাকারগুলিতেই দেখা যায়।

এর পাশাপাশি স্মার্টওয়াচে আরও নানা উন্নত স্মার্ট ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল মিউজিক কন্ট্রোল, বিল্ট-ইন ব্লুটুথ, বিল্ট-ইন মাইক, ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং এনএফসি।

সবথেকে বড় কথা হল, এগুলি সেলুলার মডেলে পাওয়া যায়। যার ফলে স্মার্টফোন থেকে পুরোপুরি স্বাধীন ভাবে পরিচালনা করা যায়। সেখানে কিন্তু ফিটনেস ট্র্যাকারের তেমন বহুমুখিতা থাকে না।

আরও পড়ুন- ফোন হারানোর পরই স্যুইচড অফ! আর চিন্তা নেই, অ্যান্ড্রয়েড ১৫ থাকলেই খুঁজে পাবেন

কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে দেখতে গেলে আবার একটা বড় ফারাকও রয়েছে। ফিটনেস ট্র্যাকার আর স্মার্টওয়াচ উভয় ক্ষেত্রেই ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়। কিন্তু স্মার্টওয়াচে থাকে সেলুলার কানেক্টিভিটি। আবার কিছু স্মার্চওয়াচ তো নেটওয়ার্কেও কানেক্ট করা সম্ভব ফিজিক্যাল সিম কিংবা ই-সিমের সাহায্যে। যার ফলে স্মার্টফোন বাড়িতে ফেলে আসলেও দূর থেকে কল, নোটিফিকেশন, মেসেজ রিসিভ করা সম্ভব হবে।

সব সময় স্মার্টওয়াচ ভাল না-ও হতে পারে:

ফিটনেস ট্র্যাকার স্মার্টওয়াচের তুলনায় আকারে ছোট। তবে ফিটনেস ট্র্যাকারের সবথেকে বড় সুবিধা হল ব্যাটারি লাইফ। কারণ স্মার্টওয়াচে থাকে বড় উজ্জ্বল ডিসপ্লে। ফলে পাওয়ারের দিক থেকে দেখতে গেলে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি লাইফ ভাল নয়।

আবার বড় আকারের ভারি বলে অনেকেই স্মার্টওয়াচ পছন্দ করেন না। তাঁদের জন্য ভাল হতে পারে ফিটনেস ট্র্যাকার। কারণ এটি হালকা ওজনের হয়। এমনকী ঘুমোতে যাওয়ার সময়েও এটি পরে থাকা সম্ভব। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দাম। ফিটনেস ট্র্যাকারের দাম স্মার্টওয়াচের তুলনায় কমই হয়।