মাত্র পাঁচ মিনিটে ৫ লক্ষ চারাগাছ রোপণ! বিরাট রেকর্ড ত্রিপুরায়

আগরতলা: পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুঁশিয়ারি দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা৷

তিনি বলেন. পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিনিয়ত ভারসাম্য রক্ষা করা উচিত। ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলেই মুশকিল। রক্তের যেমন ধর্মের কোন ভেদাভেদ নেই, তেমনই গাছের ক্ষেত্রে ধর্মের কোনও বিভাজন হয় না।

মানিক সাহা আরও বলেন, প্রকৃতি থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিস থেকে আমাদের শিক্ষণীয় রয়েছে। বনদস্যু বা বন ধ্বংসকারীদের কোন অবস্থায় রেয়াত করা হবে না। এদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- মহাকাল নগরীতে মহা-আয়োজন! আগামী ৭ জুলাই থেকে শুরু উৎসব; দেখে নিন দিনক্ষণ        

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “এক পেড় (বৃক্ষ), মা কে নাম” অভিযানে অনুপ্রাণিত হয়ে  ত্রিপুরা বন দফতর আয়োজিত রাজ্যব্যাপী ৫ মিনিটে ৫ লক্ষ চারাগাছ রোপন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মোহনপুরের তারানগরে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চারাগাছ বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্লোগান দিয়েছেন ‘এক পেড়, মা কে নাম’। তিনি নিজেও বৃক্ষরোপণ করেছেন। আর আমরাও সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি করেছি। প্রধানমন্ত্রী যখনই কোন শ্লোগান দেন অনেক চিন্তাভাবনার পর দিয়ে থাকেন।

এর আগেও ‘মেরি মাটি মেরি দেশ, ৭৫ সীমান্ত গ্রাম – ক্রান্তি বীরো কা নাম, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হার ঘর তিরঙ্গা’ ইত্যাদি দেশাত্মবোধক শ্লোগান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ডাঃ সাহা বলেন, প্রকৃতি থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে ভারসাম্য হারালে মুস্কিল হয়ে যায়। একটা বাই সাইকেল চালাতে গেলে যেভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয় তেমনি জীবন যুদ্ধেও ভারসাম্য রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিছুদিন আগে আমাদের এক প্রভারী দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছিলেন। এখানে এসে কথায় কথায় তিনি বলছেন আপনারা আমাদের থেকে আরো ১০ বছর বেশি বাঁচবেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান যে দিল্লিতে এত দূষণ মনে হয় বেশিদিন বাঁচা যাবে না। সেই তুলনায় এখানে এসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে।

ত্রিপুরাতে চারিদিকে এত গাছপালা দেখে তাঁরা অভিভূত। এর পাশাপাশি বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আরো সতর্ক থাকতে উপস্থিত বনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন অবস্থায় বন ধ্বংসকারীদের রেহাই না দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।