বাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজে জল ছাড়ার পরিমান

Flood Situation in Bengal: বাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজে জল ছাড়ার পরিমান! তবে, নেই বন্যার আশঙ্কা

দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমান। দুর্গাপুর ব‍্যারেজ থেকে ৮৪.৫৫০ কিউসেক জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে শিল্পাঞ্চলেও। অতি বৃষ্টির কারণে দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়ে এখন ৮৪.৫৫০ কিউসেক।

আরও পড়ুনঃ সাত সকালেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতার কারখানায়! গলগল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, ঘটনাস্থলে দমকলের ৯ টি ইঞ্জিন

তবে, এই জল ছাড়ার পরিমান পাঞ্চেত বা মাইথনের জল ছাড়ার কারণে নয় বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। গত ২৪ ঘন্টায় দুর্গাপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৭০ মিলিমিটার। আসানসোলে বৃষ্টির পরিমাণ ১৫১.৪০ মিলিমিটার। পশ্চিম বর্ধমানে অতি বৃষ্টির কারণেই দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। এই বৃষ্টিতে কাকসা-সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম। এই বৃষ্টির জের জলমগ্ন হয়েছে চাষের জমিও।

আরও পড়ুনঃ অসময়েও উপচে পড়বে ফুলে! লাগবে না এক পয়সাও! ‘এইভাবে’ করুন পরিচর্যা! থাকবে না কোনও পোকামাকড়

নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে একাধিক নদীতে। টুমনি নদীতেও বেড়েছে জলের স্তর। সেই জলে প্লাবিত হয়েছে কাঁকসার বিদবিহারের শিবপুর, কৃষ্ণপুর, নবগ্রাম সহ একাধিক গ্রামের চাষের জমি। কয়েক হাজার বিঘা চাষের জমি এখন জলের তলায়। টুমনি নদীর জলে শিবপুরের ভাসাপুল জলমগ্ন হওয়ায় বিচ্ছিন্ন পশ্চিম বর্ধমানের সাথে বীরভূমের যোগাযোগ। চরম দুর্ভোগের মুখে দুই জেলার মানুষ। চরম ক্ষতির মুখে কৃষকরা। স্থানীয় বাসিন্দা মদনমোহন ঘোষ বলেন,”টুমনি নদীর জল বাড়লেই আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা তো বিচ্ছিন্নই সঙ্গে এলাকার সব ধান চাষের জমিও জলের তলায়। আমাদের যন্ত্রণার শেষ নেই। কিছুদিন আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল।”

অর্পন চক্রবর্ত্তী