ট্রাফিক যতই থাক, ভুলেও ‘এই’ কাজগুলো করা চলবে না, করলেই গাড়ি একেবারে নষ্ট

কলকাতা: সামনেই দীর্ঘ সপ্তাহান্তের ছুটি আসছে। সাধারণত ছুটির দিনে রোড ট্রিপ করার পরিকল্পনা সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়। তবে বেশিরভাগ সময়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে মেট্রো শহরের বাইরে এক্সপ্রেসওয়েগুলিতে হেভি ট্রাফিক থাকে। অনেকবার দেখা গিয়েছে যে, দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের কারণে অনেকেই ছুটি কাটানোর আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

এই ধরনের ট্রাফিক গাড়ির বিভিন্ন উপাদানের উপর চাপ সৃষ্টি করে। আবার যাতে যাত্রীদের একই রকম পরিস্থিতিতে আটকে না পড়েন তার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

ইঞ্জিনের তাপমাত্রা

ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের ধরন যাই হোক না কেন, গাড়িতে সর্বদা একটি গেজ থাকে যা ইঞ্জিনের তাপমাত্রা নির্দেশ করে। যদি গেজ ‘H’-এর কাছাকাছি চলে যায় বা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যায়, তবে ইঞ্জিনের তাপমাত্রায় অ্যালার্ট লাইট দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা, সেক্ষেত্রে গুরুতর ক্ষতি এড়াতে অবিলম্বে গাড়ি থামানো উচিত এবং ইঞ্জিন বন্ধ করা উচিত। অতিরিক্ত উত্তাপের কারণ ত্রুটিযুক্ত রেডিয়েটর, কুল্যান্ট পাম্প বা থার্মোস্ট্যাট হতে পারে।

আরও পড়ুন- ফোন হারানোর পরই স্যুইচড অফ! আর চিন্তা নেই, অ্যান্ড্রয়েড ১৫ থাকলেই খুঁজে পাবেন

ইঞ্জিন পাওয়ারের ক্ষতি

হেভি ট্রাফিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে ইঞ্জিন চালু রাখাও ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণ হতে পারে। তাই ইঞ্জিন বন্ধ করা অত্যাবশ্যক। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য যানজটে আটকে থাকতে হয় তবে স্টপ/স্টার্ট ফিচার কাজে লাগিয়ে ট্রাফিকের মধ্যে গাড়ি থামানো যায়। সেক্ষেত্রে চালকদের ইঞ্জিন চেক লাইটের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গাড়ির কাচ বন্ধ রাখা

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গাড়ির এসি বন্ধ রাখা এবং জানালার কাচ নামিয়ে দেওয়া। নয়তো দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এতে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। গরম আবহাওয়ায়, যানজটে আটকে থাকার সময় দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু রাখার পরিবর্তে এর ব্যবহার সংযত করা যেতে পারে।

গিয়ার শিফট করা

বাম্পার-টু-বাম্পার ট্র্যাফিক বা টারমাকের প্যাচগুলিতে চলার সময় গাড়ির ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হতে পারে। বারে বারে ক্লাচ ব্যবহারে অনেকসময়েই ক্লাচের ওপর অপ্রত্যাশিত চাপ বাড়ে।

দূরত্ব বজায় রেখে চলা

দীর্ঘ যানজটের ক্ষেত্রে, সর্বদা সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়। নয়তো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় তীব্র ভাবে ব্রেক কষলে অ্যাক্সিডেন্টের সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুন- ফিটনেস ব্যান্ড নাকি স্মার্ট ওয়াচ? দেখতে দুটোই প্রায় এক! তা হলে কোনটা কিনবেন?

দ্রুত গাড়ির প্রি-চেকিং

দীর্ঘ ট্রাফিকের ক্ষেত্রে একবার অন্তত আগে থেকে গাড়ি চেক করিয়ে নেওয়া উচিত।

ধৈর্যই চাবিকাঠি

এই সময়ে, মনে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ধৈর্যশীল হওয়া এবং শান্ত থাকা। ধীর গতির ট্রাফিকে সামনের গাড়ি থেকে নিজের গাড়ির দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে।