গোণ্ডা: উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তি তার ছেলের জন্মদিন ধুমধাম করে পালন করার ব্যবস্থা করেছিল। রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ডিনার এতটাই সুস্বাদু ছিল যে পুরো গ্রাম খাবারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু পরের দিন সকালে যা ঘটল তা ছিল অবাক করার মতো। একে একে ৭০ জনের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। দ্রুত গ্রামের প্রধান প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। এরপর দ্রুত দুটি অ্যাম্বুলেন্স গ্রামে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই প্রাণ গেল ছেলের, অন্ধ বাবা মা জানতেই পারল না! বিস্তারিত জানুন
গোণ্ডার বেলসার ব্লকের একটি গ্রামে খাবার বিষক্রিয়ায় ৭০-এর বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হইচই শুরু হয়। জেলার বেলসার এলাকার জবর নগরের তিওয়ারি পুরা মাজারে শনিবার সন্ধ্যায় নিরঞ্জন পাসওয়ানের ছেলের জন্মদিন ছিল। অনুষ্ঠানে পুড়ি, সবজি, ছোলা, পনীর এবং দই বড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল। পরের দিন রবিবার দুপুরের পর গ্রামের এবং পরিবারের মানুষের অবস্থার অবনতি শুরু হয়।
লোকজনকে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। গ্রামের প্রধান বৈভব সিং এই বিষয়টি ব্লক প্রধান রাজেন্দ্র সিং-কে জানান। তিনি সিএইচসি-তে চিকিৎসা পরিদর্শক ডাক্তার সতপাল সোনকারকে ফোন করে জানান। তিনি দ্রুত মেডিকেল টিমকে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে জানা যায়, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সকলকে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এমনকি ক্যাটারার অনুজ যাদবেরও বমি হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: প্রেমে ফাঁসিয়ে যুবকের সাড়ে নয় লাখ টাকা হাতাল তরুণী, নির্জন এলাকায় মিলল প্রেমিকের লাশ!
ডাক্তাররা গ্রামের মধ্যে ক্যাম্প স্থাপন করে লোকজনকে ওষুধ বিতরণ করেন। ৩০ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীকে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে সিএইচসি বেলসার এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সে তেরবগঞ্জ সিএইচসি ভর্তি করা হয়েছে। সকলের অবস্থা স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এবং খাদ্য নিরাপত্তা অফিসার অজিত মিশ্র একটি টিম নিয়ে গিয়ে খাবারে ব্যবহৃত মসলা এবং তেলের নমুনা সংগ্রহ করেন। এর পাশাপাশি যে দোকান থেকে বাজারের সামগ্রী আনা হয়েছিল, সেই দোকানেও পুলিশ গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে।