কলকাতা: প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন উৎসবের সময় দেবদেবীদের আরাধনায় মেতে ওঠেন মানুষ। আবার অনেক সময় কেউ কেউ দেবদেবীর মন্দিরে যান দর্শন করতে কিংবা পূজা দিতে। বছরের সমস্ত দিনই এই নিয়ম পালন করে তাঁরা। কিন্তু ভাদ্র মাস এলে প্রায় সকলেই ভগবান শ্রীগণেশের আরাধনায় ব্রতী হন। ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে তাঁর পূজার্চনা করা হয় ভক্তি ভরে। গণেশ উৎসব দশ দিন ধরে চলে। ভাদ্র সুদ চৌথ থেকে শুরু করে ভাদ্র সুদ চোদ্দো পর্যান্ত পূজা বিধি এবং মূর্তি বিসর্জন সম্পন্ন হয়।
ভাদ্র মাসে যাঁরা বাড়িতে ভগবান গণপতির পূজা করেন, কিংবা তাঁর নতুন মূর্তি স্থাপন করেন, তাঁদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এমনটাই জানাচ্ছেন গুজরাতের ভাদোদরা শহরের জ্যোতিষী বিজয়া রাজ। তাঁর মতে, নিজের রাশির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্দিষ্ট রঙের ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করা উচিত। এটি তাঁদের বিশেষ সুবিধা দেবে।
ধনু রাশি:
ভগবান গণেশের হলুদ বা লাল মূর্তি আনয়ন করা উচিত এই রাশির জাতক-জাতিকাদের। এর পাশাপাশি সেই মূর্তিতে প্রতিদিন ২১ বার এক চিমটি হলুদ নিবেদন করতে হবে।
মকর রাশি:
ভগবান গণেশের নেভি ব্লু, কালো এবং সবুজ রঙের মূর্তি আনতে হবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের। সেই সঙ্গে মূর্তির উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ১১ বার এক চিমটি সিঁদুর নিবেদন করতে হবে।
কুম্ভ রাশি:
এই রাশির জাতক জাতিকাদের ভগবান গণেশের নেভি ব্লু ও পিঙ্ক রঙের মূর্তি আনা উচিত। এছাড়াও প্রতিদিন গণপতি বাপ্পার পায়ে ১১টি করে লবঙ্গ নিবেদন করতে হবে।
মীন রাশি:
হলুদ ও লাল রঙের ভগবান গণেশের মূর্তি আনা উচিত মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের। এছাড়া প্রতিদিন হেনা আতর নিবেদন করতে হবে ওই মূর্তির উদ্দেশ্যে।
উপরোক্ত কাজের সময় যে মন্ত্রগুলি জপ করা উচিত:
১. ॐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ૐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ ॐ শ্রী গণেশায় নমঃ
২. সঙ্কট নাশন স্তোত্র
৩. গণপতি অথর্বশীর্ষ।
এর পাশাপাশি ভাদ্র মাসের চতুর্থী তিথিতে অন্তত একজন ব্রাহ্মণকে খাওয়ানো উচিত এবং তাঁর প্রয়োজন অনুসারে কিছু দক্ষিণা এবং বস্ত্রও দান করতে হবে।