রেল স্টেশনের নাম হলুদের উপর কালো দিয়ে লেখা হয় কেন? দেশের সব জায়গায় 'এই' নিয়ম...!

Railway Sign Boards in India: রেল স্টেশনের নাম হলুদের উপর কালো দিয়ে লেখা হয় কেন? দেশের সব জায়গায় ‘এই’ নিয়ম…!

যেকোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। পাশ করতে গেলে তাই জিকে ভাল করে শিখে রাখা খুবই জরুরি।
যেকোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। পাশ করতে গেলে তাই জিকে ভাল করে শিখে রাখা খুবই জরুরি।
আশেপাশে কত কিছুই আছে, যা আমরা দেখেও দেখি না। কার্যকারণ নিয়েও চিন্তিত হই না। কিন্তু হঠাৎ ভাবলে অবাকই লাগবে। ঠিক এমনই এক বিষয় নিয়ে আজকের ওয়ি প্রতিবেদন। কাজে লাগতে পারে সাধারণ জ্ঞান হিসেবে। বইয়ের পাতায় এ সব পাবেন না!
আশেপাশে কত কিছুই আছে, যা আমরা দেখেও দেখি না। কার্যকারণ নিয়েও চিন্তিত হই না। কিন্তু হঠাৎ ভাবলে অবাকই লাগবে। ঠিক এমনই এক বিষয় নিয়ে আজকের ওয়ি প্রতিবেদন। কাজে লাগতে পারে সাধারণ জ্ঞান হিসেবে। বইয়ের পাতায় এ সব পাবেন না!
ভারতে রেলের সব স্টেশনের নামই লেখা হয় হলুদ বোর্ডের উপরে কালো রং দিয়ে। দেশের যে কোনও স্টেশনে গেলেই দেখতে পাবেন, এর ব্যতিক্রম হয় না। কখনও মনে হয়েছে, কেন স্টেশনের নাম হলুদের উপর কালো রঙের অক্ষর দিয়েই লেখা হয়? রহস্যটা কী?
ভারতে রেলের সব স্টেশনের নামই লেখা হয় হলুদ বোর্ডের উপরে কালো রং দিয়ে। দেশের যে কোনও স্টেশনে গেলেই দেখতে পাবেন, এর ব্যতিক্রম হয় না। কখনও মনে হয়েছে, কেন স্টেশনের নাম হলুদের উপর কালো রঙের অক্ষর দিয়েই লেখা হয়? রহস্যটা কী?
হলুদ বোর্ডের উপর কালো রং দিয়ে স্টেশনের নাম কেন লেখা হয়, তার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। কয়েকটি বিজ্ঞানভিত্তিক। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারণগুলি কী কী।
হলুদ বোর্ডের উপর কালো রং দিয়ে স্টেশনের নাম কেন লেখা হয়, তার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। কয়েকটি বিজ্ঞানভিত্তিক। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারণগুলি কী কী।
প্রথমত, বলে রাখা ভাল আলোক বর্ণালিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দিক থেকে হলুদ রং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সবুজ ও কমলার মাঝখানে। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। অনেক দূর থেকে এই রং দেখা যায়। তাই সিগন্যালে বা বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার সময়ে, লাল রঙেরই ব্যবহার হয়।
প্রথমত, বলে রাখা ভাল আলোক বর্ণালিতে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দিক থেকে হলুদ রং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সবুজ ও কমলার মাঝখানে। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। অনেক দূর থেকে এই রং দেখা যায়। তাই সিগন্যালে বা বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার সময়ে, লাল রঙেরই ব্যবহার হয়।
হলুদ রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৭০-৫৮০ ন্যানোমিটার। হলুদ রংও দূর থেকে চোখে পড়ে। এবং অনেকটা উজ্জ্বল ও স্পষ্ট ভাবে। উজ্জ্বল রঙের এই বোর্ড ট্রেনের যাত্রীরাও দূর থেকে দেখতে এবং পড়তে পারেন। ফলে তাঁদেরও স্টেশন বুঝতে সুবিধা হয়।
হলুদ রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৭০-৫৮০ ন্যানোমিটার। হলুদ রংও দূর থেকে চোখে পড়ে। এবং অনেকটা উজ্জ্বল ও স্পষ্ট ভাবে। উজ্জ্বল রঙের এই বোর্ড ট্রেনের যাত্রীরাও দূর থেকে দেখতে এবং পড়তে পারেন। ফলে তাঁদেরও স্টেশন বুঝতে সুবিধা হয়।
সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয় ট্রেনচালকের। স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হলুদ বোর্ডের উপর লেখা স্টেশনের নাম চোখে পড়ে চালকের। ট্রেনের গতিও সেই মতোই কমাতে থাকেন তিনি। দ্রুতগামী ট্রেন যদি কোনও স্টেশনে না-ও দাঁড়ায়, তা হলেও হলুদ বোর্ডটি দেখতে পেয়ে সতর্ক থাকেন চালক। দূর থেকেই চালকের বুঝতে সুবিধা হয় যে ট্রেন কোনও স্টেশন পার করছে।
সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয় ট্রেনচালকের। স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হলুদ বোর্ডের উপর লেখা স্টেশনের নাম চোখে পড়ে চালকের। ট্রেনের গতিও সেই মতোই কমাতে থাকেন তিনি। দ্রুতগামী ট্রেন যদি কোনও স্টেশনে না-ও দাঁড়ায়, তা হলেও হলুদ বোর্ডটি দেখতে পেয়ে সতর্ক থাকেন চালক। দূর থেকেই চালকের বুঝতে সুবিধা হয় যে ট্রেন কোনও স্টেশন পার করছে।
হলুদ রঙের ব্যবহারের আরও কিছু কারণ আছে। বৃষ্টি, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গেলে এবং যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলো কম থাকলেও দূর থেকে হলুদ রং সবচেয়ে আগে চোখে পড়ে। কম দৃশ্যমানতাতেও হলুদ রঙের ঔজ্জ্বল্য স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। সে কারণেও এই রং ব্যবহার করে রেল।
হলুদ রঙের ব্যবহারের আরও কিছু কারণ আছে। বৃষ্টি, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গেলে এবং যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলো কম থাকলেও দূর থেকে হলুদ রং সবচেয়ে আগে চোখে পড়ে।
কম দৃশ্যমানতাতেও হলুদ রঙের ঔজ্জ্বল্য স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। সে কারণেও এই রং ব্যবহার করে রেল।
কম দৃশ্যমানতাতেও হলুদ রঙের ঔজ্জ্বল্য স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। সে কারণেও এই রং ব্যবহার করে রেল।