সাপ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। আজ আমরা আপনাদের এমন তথ্য দেব, যেগুলো সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। এই পদার্থটি পোড়ালে সবচেয়ে বিষাক্ত সাপটিও আপনার কাছাকাছি কোথাও দেখা যাবে না।বলা হয়, সাপকে জ্বালাতন না করলে সে আপনাকে জ্বালাতন করবে না। কিন্তু তবু, সাপকে সবাই ভয় পায়। এমন পরিস্থিতিতে সাপের কামড় থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায় হল এমন কাজ করা যাতে সাপ আপনার কাছে না আসে।উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে সাপের উপদ্রব বেশি। সাপ উদ্ধারকারী দলকে ডাকা হলেও তারা সময়মতো পৌঁছায় না। তার আসার আগেই একটা কেলেঙ্কারি হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেরাই সাপের হাত থেকে বাঁচার পথ খুঁজে নেয়।কোনও বাড়িতে সাপ দেখা গেলে বলা হয় সেখানে সাপের আস্তানা আছে। সাপ মারবেন না। ফলে মানুষ তাদের কিছুই করে না এবং তাদের পালানোর পথ করে দেয়। তবে, কিছু রাজ্যে এটি হয় না।পৃথিবীতে অনেক প্রজাতির সাপ রয়েছে। আমরা যদি ভারতের কথা বলি তাহলে দেখব, ভারতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে, প্রায় ৫০ প্রজাতির সাপ অত্যন্ত বিষাক্ত। যদি রাতে বা দিনের বেলায় এই ধরনের সাপ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভাল উপায়।আপনাকে বলতে যাচ্ছি যে খুব কম মানুষই জানেন যে সাপ যতই বিষাক্ত হোক না কেন, টর্চের আলো তার চোখে পড়লে সাপটি অজ্ঞান হয়ে যায় এবং সেখানেই থেমে যায়।তবে এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি পাওয়া যায় সর্ষের তেল থেকে। এর থেকে বের হওয়া খোল পোড়ালে সাপ শতহস্ত দূরে পালায়।কৃষকরাও পশুদের খাওয়ানোর জন্য সরিষার বীজ থেকে তৈরি এই খোল ব্যবহার করে। এটি পোড়ানো হলে একটি অদ্ভুত গন্ধ বের হয়। এটি সাপকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আসতে বাধা দেয়। ইউপি- বিহারের কৃষকরা রাতে মাঠে ও শস্যাগারে ঘুমায়, তারা প্রায়শই এই সরিষার খোল ব্যবহার করে।
