লাইফস্টাইল Green Coconut Water in Blood Sugar: যতই গরম পড়ুক ব্লাড সুগারে কি ডাবের জল খাওয়া যায়? ডাবের জল খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন Gallery May 1, 2024 Bangla Digital Desk যতই গরম বাড়ছে, মানুষ ততই প্রাণের আরাম খুঁজছে ডাবের জলে। একদিকে যেমন আরামদায়ক, অন্যদিকে তেমনই পুষ্টিগুণে ভরা এই প্রাকৃতিক পানীয়। কিন্তু ব্লাড সুগার থাকলে কি ডাবের জল পান করা যায়? কারণ যে কোনও খাবারের ক্ষেত্রে মধুমেহ রোগীদের সতর্ক হতে হয়। ভেবেচিন্তে তাঁদের ডায়েটচার্ট ঠিক করতে হয়। তাঁদের দ্বন্দ্ব দূর করেছেন পুষ্টিবিদ শিল্পা অরোরা। শিল্পার মতে, ‘‘ডাবের জল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি। ইলেক্ট্রোলাইটস আছে প্রচুর পরিমাণে। প্রাকৃতিকভাবে বেশি পটাশিয়াম আছে। ফলের রস বা কৃত্রিম রসের তুলনায় ডাবের জল বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ এই পানীয়গুলিতে টক্সিক চিনি বেশি।’’ ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে আছে প্রোটিন এবং ফাইবার। তাই ব্লাড সুগারের উপযোগী পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এই দুই উপকরণ হজম হতে সময় লাগে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে ধীরে ধীরে। রিফাইন্ড সুগার বা প্রক্রিয়াজাত শর্করার তুলনায় প্রাকৃতিক শর্করা বেশি স্বাস্থ্যকর ডায়াবেটিসে। তাই সিন্থেটিক পানীয়র তুলনায় ডাবের জল বেশি উপকারী। ডাবের জল প্রাকৃতিক এবং এতে কোনও সংরক্ষক নেই। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এই উপকরণগুলি নেই বলেই স্বাস্থ্যকর পানীয়। ডাবের জল দিনভর তরতাজা ও কর্মক্ষম রাখে। এই পানীয়ের ইলেক্ট্রোলাইটস পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে শরীরে। মেটাবলিক ফাংশনিং বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডাবের জলের পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে। ডায়াবেটিসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এত উপকারিতা সত্ত্বেও ডাবের জল পান করা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে মধুমেহ রোগীদের। তাঁদের জন্য শিল্পার পরামর্শ, দিনে এক গ্লাসের বেশি ডাবের জল পান না করার। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করার প্রবণতা থাকলে ডাবের জল না খাওয়াই ভাল। এড়িয়ে চলতে হবে ডাবের শাঁস বা মালাই। তবে সিন্থেটিক পানীয়র তুলনায় ডাবের জল পুষ্টিগুণের দিক থেকে উপকারী ব্লাড সুগারে।