KKR vs GT: ইডেনে নাইটদের উড়িয়ে দিয়ে বদলা নিল গুজরাত, জঘন্য বোলিং এবং ফিল্ডিং কেকেআরের

কলকাতা: কেকেআর স্কোর বোর্ডে যে রান তুলেছিল সেটা কুড়ি রান কম ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই ধরনের ম্যাচে যেটা জয়-পরাজয়ের পার্থক্য তৈরি করে দেয়। ওপেন করতে নেমে ঋদ্ধিমান (১০) ফিরে গেলেও গিল দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন। দেখার মত শট মারলেন। ৪৯ করে আউট হলেন নারিনের বলে। হার্দিক পান্ডিয়া (২৬) ফিরে গেলেন রাসেলের বলে। কিন্তু ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে বেশ কয়েকবার জঘন্য ফিল্ডিং কেকেআরের। মিলারের (২৮) সহজ ক্যাচ ফেললেন সুয়শ। সুযোগ পেলে বড় শট নিলেন বিজয় শংকর।

শনিবার ইডেনে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হল ম্যাচ। চোটের কারণে জেসন রয় আজকে ছিলেন না। সেটা বিশাল ধাক্কা ছিল কলকাতার কাছে। তার জায়গায় আফগান গুরবাজ আবার এসেছিলেন শুরুতে। সঙ্গে আবার জগদীশন। তবে আজ বল নষ্ট করেনি তিনি। ১৫ বলে ১৯ ( চারটি বাউন্ডারি) মেরে আউট হয়ে গেলেন। তবে তিন নম্বরে শারদুল ঠাকুরকে নামিয়ে একটা চমক দিতে চেয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত।

কিন্তু পুরো ব্যর্থ ঠাকুর। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন মোহিত শর্মা। দুটি উইকেট নিলেন শামি। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে এবারের আইপিএলের নিজের দ্বিতীয় পঞ্চাশ করে নিলেন গুরবাজ। আজ আফগান ওপেনার প্রথম থেকেই দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন।

এমনকি নিজের দেশের রশিদ খানকেও বেশ কয়েকবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। চার নম্বরে এলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে নুর আহমেদ বেশ টাইট বোলিং করে কেকেআরের রান তোলার গতি কমিয়ে দিলেন। ১০ ওভারের শেষে নাইটদের রান ছিল ৮৪/২। ভেঙ্কটেশ (১১) আজ ব্যর্থ। লিটলের বলে স্কুপ করতে গিয়ে এল বি হলেন। একই ওভারে আউট অধিনায়ক নীতিশ রানা (৪)। পয়েন্ট ক্যাচ দিলেন তিনি। দুটো উইকেট নিয়ে নিলেন লিটল।

রিঙ্কু সিং একেবারেই টাইমিং করতে পারছিলেন না। দেখার ছিল ১৫ ওভারের পর থেকে কতটা রান বাড়িয়ে নিতে পারে কলকাতা। রশিদ খানের এক ওভারে ১৭ রান নিলেন গুরবাজ। নূরের বলে ফিরে গেলেন সেই রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটা ছক্কা এবং পাঁচটি বাউন্ডারি দিয়ে।

জন্মদিনের দিন রাসেল আবার ব্যর্থ হন কিনা দেখার ছিল। রশিদ খান আজ একটিও উইকেট পেলেন না। চার ওভারে দিলেন ৫৪ রান। গুজরাটের হয়ে আজ দুর্দান্ত বল করলেন লিটল। দুটি উইকেট নেওয়া ছাড়াও চার ওভারে দিলেন মাত্র ২৫ রান। রাসেল কয়েকটা ছয় মেরে ১৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেন।

বরুণ চক্রবর্তী আজকের ভিলেন। এতদিন ভাল বল করলেও আজ ১৭ নম্বর ওভারে ২৪ রান নিলেন তার ওভারে বিজয় শংকর। অসাধারণ খেললেন বিজয়। প্রায় একার হাতেই জয় নিশ্চিত করে দিলেন গুজরাতের। আমেদাবাদের বদলা, কলকাতায় নিয়ে নিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আবার হারের রাস্তায় ফিরে নিজেদের প্লে অফ খেলার আশা প্রায় জলাঞ্জলি দিল কেকেআর। দু ওভার আগে থাকতেই জিতে গেল গুজরাত। এই নিয়ে পরপর চারটে।