PBKS vs GT: পঞ্জাবকে হারিয়ে আজ রাতে জয়ের রাস্তায় ফিরতে মরিয়া হার্দিকদের গুজরাত

মোহালি: কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে পরাজয় হয়তো এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটাররা। কারণ, অন্তিম ওভারে ২৯ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ পেসার যশ দয়াল। তাঁর শেষ পাঁচটি বলেই রিঙ্কু সিং হাঁকিয়েছিলেন বড়-বড় ছক্কা। যা কেকেআরকে এনে দিয়েছিল অপ্রত্যাশিত জয়। সেই ধাক্কা সামলে বৃহস্পতিবার মোহালিতে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাত টাইটান্স।

গত ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর পরিবর্তে টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রশিদ খান। দল হারলেও রশিদ কিন্তু বল হাতে সফল হয়েছিলেন। নামের পাশে লিখেছিলেন হ্যাটট্রিক। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হার্দিকের দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে গুজরাতের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য আরও বাড়বে। ছন্দে আছেন শুভমান গিল, সাই সুদর্শন।

তবে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ফিট নন। তাঁর জায়গায় ম্যাথু ওয়েড খেলতে পারেন। মিডল অর্ডারে কিলার মিলারের সঙ্গে বিজয় শঙ্কর গুজরাতের বড় ভরসা। খেলা যেহেতু মোহালিতে, তাই পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে মহম্মদ সামির সঙ্গে আলজারি জোসেফের জুটি জমে যেতে পারে। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে অন্তিম ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করার পর যশ দয়ালের উপর টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা থাকে কিনা, সেটাই দেখার।

গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে বেশ চাপে পাঞ্জাব কিংসও। তবে দুরন্ত ছন্দে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। একাই তিনি পথ দেখাচ্ছেন পাঞ্জাবের ব্যাটিংকে। গত ম্যাচে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে ধাওয়ান ছাড়া নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের অভাব স্পষ্ট।

স্যাম কারান, সিকন্দর রাজার মতো বিদেশিদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী পাঞ্জাবের বোলিং। অর্শদীপ সিয়ের মতো পেসার নতুন বলে বরাবরই ভয়ঙ্কর। বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের স্পিনের ফাঁদে ফেলার কৌশল ভালোই জানেন রাহুল চাহারও।