দেশ Who Is Bhole Baba: লাশের পর লাশ ! হাথরসে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল, কে এই ভোলে বাবা ? জানুন পরিচয় Gallery July 3, 2024 Bangla Digital Desk সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর প্রদেশের হাথরস। মঙ্গলবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২১ জনেরও বেশি মানুষ। এই ধর্মসভার আয়োজন করেছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটি। আর এই কমিটির মাথায় রয়েছেন এক আধ্যাত্মিক গুরু। যিনি হাথরসের ফুলরাই মুগলগাধি গ্রামে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি নামে প্রসিদ্ধ। এই প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে News18 জানতে পেরেছে যে, যে অনুষ্ঠানের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানের জন্য ছাড়পত্র ছিল আয়োজকদের কাছে। তবে ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। কিন্তু কেন ঘটল এহেন দুর্ঘটনা? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন সিকন্দ্রা রাও থানার এসএইচও আশিস কুমার। তিনি জানান যে, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হাথরসের বিভিন্ন জায়গায় এই অনুষ্ঠান সংক্রান্ত পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। যাতে সেখানে আরও ভক্তসমাগম হয়। যার জেরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। পোস্টারে আয়োজকদের নামের তালিকায় ছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটির নামও। কিন্তু এই কমিটির মাথায় থাকা ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি আসলে কে? তিনি আদতে ইটাহ-র পাটিয়ালির বাসিন্দা। নবভারত টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, আগে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন নারায়ণ সাকার হরি। পরে তিনি পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্থানীয় ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টেই প্রায় ১৭ বছর ধরে চাকরি করেছেন। এরপরেই তিনি ধর্মগুরু হয়ে ওঠেন। তবে অন্যান্য ধর্মগুরুদের মতো তাঁর সাজপোশাক নয়। আসলে অন্যান্য ধর্মগুরুদের সাধারণত গেরুয়া পোশাকে দেখা যায়। তবে নারায়ণ সাকার হরির পরনে সব সময় থাকত সাদা পোশাক। তিনি আবার পাটিয়ালির সাকার বিশ্ব হরি বাবা নামেও পরিচিত। তাঁর আয়োজন করা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শয়ে শয়ে ভক্ত যোগ দিতেন। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে মিলে ধর্মীয় প্রচার করতে দেখা যায় তাঁকে। নারায়ণ সাকার হরির দাবি, নিজের আধ্যাত্মিক সফর শুরু করার জন্যই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি। পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি ধর্মপ্রচারক হয়ে ওঠেন। উত্তর প্রদেশ সরকারের বক্তব্য, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হবে। এটাহ পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার সিং বলেন, এটাহ হাসপাতালে পৌঁছেছিল ২৭ জনের দেহ। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা, ৩ শিশু এবং ১ জন পুরুষ ছিলেন। এদিকে দেহগুলি ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়িতে চাপিয়ে আনা হয়েছিল সিকন্দর রাও ট্রমা সেন্টারে। ভাইরাল এক ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে যে, ট্রাকে মৃতদেহের মাঝে বসে কান্নাকাটি করছেন এক মহিলা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন যে, সৎসঙ্গ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরোনোর সময়ই ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। একে অপরের উপর পড়ে গিয়েছিলেন ভক্তরা। পদপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এখানেই শেষ নয়, হাথরসের এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে পিএমএনআরএফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।