Health Insurance: স্বাস্থ্যবিমা নিতে চান? আপনার জন্য রইল বিস্তারিত গাইডলাইন, এই জিনিসগুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন

হাসপাতালের একটা বিল গোটা পরিবারকে পথে বসাতে পারে। ভিটে মাটি চাটি হয়ে যেতে পারে এক ধাক্কায়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিমা। এটা থাকলে চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

অসংখ্য স্বাস্থ্য বিমা প্ল্যানের মধ্যে থেকে উপযুক্ত প্ল্যান বেছে নেওয়াটা খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মতোই। তাই প্ল্যান নেওয়ার আগে এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত না কি পারিবারিক: শুধু নিজের জন্য না কি পুরো পরিবারের জন্য কভারেজ প্রয়োজন, সেটা আগে ঠিক করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে স্ত্রী, সন্তানের মতো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও।

আরও পড়ুন: ডালের পর বিরাট দাম বাড়ল আলুর, নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের, ১ কেজির দাম জানলে চমকে যাবেন !

হাসপাতালে ভর্তির খরচ: চিকিৎসা খরচ কত হতে পারে, সেটা নির্ভর করছে হাসপাতালের উপর। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মেট্রো শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

পুরনো অসুখ: ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো অসুখ আগে থেকে থাকলে প্ল্যান নেওয়ার সময় জানাতে হয়। কভারেজ পাওয়ার জন্য ওয়েটিং পিরিয়ড থাকে।

বিমাকৃত অর্থ: বিমা কোম্পানি চিকিৎসা বিলের জন্য সর্বোচ্চ যে পরিমাণ টাকা প্রদান করবে সেটাই সাম ইনসিউরড বা বিমাকৃত অর্থ। হাসপাতালে ভর্তির পুরো খরচ যাতে মিটে যায়, সেরকম কভারেজ নেওয়া উচিত। ৫ লাখ বা তার বেশি কভারেজ নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ৩০ বছর বয়সে মাসে ৫ হাজার টাকার SIP শুরু করেছেন? কত রিটার্ন পাবেন দেখুন

রুম ভাড়ার সীমা: স্বাস্থ্যবিমায় দৈনিক রুম ভাড়ার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। হাসপাতালে ভর্তির সময় এটা মাথায় রাখতে হবে।

কো-পেমেন্ট: কিছু স্বাস্থ্যবিমা প্ল্যানে হাসপাতালের খরচের একটা অংশ রোগীকেই দিতে হয়। এতে প্রিমিয়াম কমে। কিন্তু সঞ্চয় বেড়িয়ে যায়। লাভের লাভ হয় না।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: কিছু প্ল্যানে প্রতি বছর বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণের জন্য এর থেকে ভাল আর কিছু হয় না। তবে সব প্ল্যানে এই সুবিধা মেলে না।

দাবি নিষ্পত্তি: বিমা কোম্পানির কাছে কত গ্রাহক কভারেজের টাকা দাবি করেছেন এবং তার মধ্যে কতজন পেয়েছেন – এটাই ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও বা দাবি নিষ্পত্তির অনুপাত। ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও বেশি হওয়া মানে কভারেজের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।