গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তীব্র দাবদাহের সঙ্গে একাধিক মরশুমি রোগে হাঁসফাঁস দশা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির কাছে অ্যালোভেরা, পুদিনা, পেঁপে, কলা, বেল গাছ থাকলেই মুশকিল আসান। গ্রীষ্মের মরশুমেও শরীর থাকবে সুস্থ আর তরতাজা। রোগ কাছে ঘেঁষতে পারবে না।আয়ুর্বেদে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান এবং আয়ুর্বেদিক উদ্ভিদের বিশেষজ্ঞ ড. বিজয় মালিক বলেন, অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ, গরমে ত্বকের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, অ্যালোভেরা পাতার উপরের স্তর ক্ষতিকর। শুধু ভিতরের সাদা জেল ব্যবহার করতে হবে।আয়ুর্বেদে অনেক রোগের ওষুধ হিসেবেই পুদিনা পাতা ব্যবহারের চল রয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে পুদিনার চাটনি খেলে গ্রীষ্মের মরশুমে বমি, ডায়রিয়ার মতো অনেক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।অনেকেরই হাড় দুর্বল। তাই সামান্য ঘটনাতেই হাড় ভাঙার সম্ভাবনা থাকে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন সকালে কলা খাবার পরামর্শ দিয়েছেন ড. বিজয় মালিক। এতে হাড় মজবুত হয়।কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়া কলাপাতা প্রাকৃতিক আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস। তাই কলাপাতায় খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এতে সেই আয়রন শরীরেও যাবে। ফাঙ্গাল ইনফেকশনে কলাপাতার পেস্ট খুব কার্যকর।পেটের জন্য পেঁপে খুবই উপকারী। চিকিৎসকরাও পেঁপে খাবার পরামর্শ দেন। পেঁপে পাতাতেও ঔষধি গুণ রয়েছে। পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুর সময় প্লেটলেটের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর পাতা হার্ট ও বিপি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
