হাড়ের স্বাস্থ্যের প্রতি অনেকেই কম নজর দেন। কিন্তু হাড়ই শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই হাড়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। ইদানীং মধ্যবয়সীরা অনেকেই শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে সমস্যায় পড়েন। এটির কারণ তাঁদের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের অভাব রয়েছে।বয়স বাড়ার সঙ্গে যদি আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, জয়েন্টের ব্যথা, হাড়ের ফ্র্যাকচারে ভুগতে না চান, তা হলে আপনার ডায়েটে এখানে উল্লেখিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ আইটেমগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও হাড় সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাস পায়। লখনউয়ের সেন্ট্রাল কমান্ড হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রোহিত যাদবের কাছ থেকে এই খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য: ব্যস্ত জীবনে খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়ে ওঠে না। কেউ কেউ প্রতিদিন দুধ বা দই খান না। এমন অবস্থায় ক্যালসিয়াম পেতে হলে দুধ বা দুধের তৈরি জিনিস খাওয়া উচিত। এতে বার্ধক্যে হাড় সংক্রান্ত সমস্যা আটকানো যাবে। অন্যান্য খাবারের তুলনায় দুগ্ধজাত পণ্যে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে।পোস্ত বীজ: দুধ এবং দই ছাড়াও খাদ্যতালিকায় পোস্ত বীজ রাখা উচিত। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভাল ফ্যাটের চমৎকার উৎস। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পোস্ত বীজ নিয়মিত সেবন করলে হাড়কে রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। তবে এটি প্রকৃতি গরম, তাই আপনার এটি শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।সবুজ শাক সবজি: সবুজ শাক পুষ্টির ভাল উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, আয়রন, ফাইবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম। পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। শাক খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে না। পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম, আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং সি পাবেন।বাদাম এবং বীজ: কিছু বাদামে ক্যালসিয়াম খুব বেশি থাকে। তাই বাদাম, তিল এবং শণের বীজ খান। এগুলি খেলে আপনি ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে, অনেক ধরনের মিনারেল, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাবেন। প্রকৃতপক্ষে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।চিয়া বীজ: শরীরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। এটি পূরণ করতে দুধ এবং মাছ খাওয়া বেশি উপকারী। কিন্তু সেগুলি না খেলে চিয়া সিডস খেতে পারেন। এটি ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের একটি ভাল উৎস।
