আমাদের হাতের কাছেই সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফল হল পেয়ারা। আট থেকে আশির পছন্দের তালিকায় থাকে সস্তায় পুষ্টিকর ফল পেয়ারা। নানা রকম ভিটামিন, খনিজে ভরপুর এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে, ক্যালরি কম, ফলে নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। পেয়ারায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। তবে শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতার-ও গুণ প্রচুরপেয়ারা পাতা শুধুমাত্র মুখের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা যেমন – মাড়ির সমস্যা এবং দাঁতের ব্যথা নিরাময়ই করে না, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ত্বকের যত্নের জন্যও দারুণ উপকারী। পেয়ারা পাতায় ফাইবার, ভিটামিন সি, এ, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।পেয়ারা পাতায় প্রদাহ প্রতিরোধকারী গুণ আছে যা ক্ষত নিরাময় করে। পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা মুখের আলসারের মত সমস্যা সারাতে সাহায্য করে। দাঁত ও মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেয়ারা গাছের পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।পেয়ারা পাতার মধ্যে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা মাড়ির প্রদাহ এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের মত সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন, এমন রোগীরা পেয়ারা পাতা খেলে উপকার পাবেন।পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি-অ্যালার্জিক গুণও রয়েছে। ফলে তা সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা কমাতেও দারুণ উপকারী। নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এখানেই শেষ নয়, পেয়ারা পাতা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি খেলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে যায়। হজমের সমস্যায় পেটে ব্যথা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে পেয়ারা পাতা। এই পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।সকাল সকাল পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। তাতে হজমের যাবতীয় সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।পেয়ারা ফল যেমন ওজন কমায়, ঠিক তেমনই এর পাতাও শরীরের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার দেহের ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। ফলে দ্রুত ঝরে মেদ। পেয়ারা পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্যাটাইটি সেন্টারের উপর কাজ করে, ফলে খিদে পায় না। এই কারণে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না।খুব চুল পড়ছে? সমস্যার সমাধান করবে পেয়ারা পাতা। চুলের গোড়া মজবুত করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা ফোটানো জল দিয়ে নিয়মিত মাথা ধুলে, চুলের ফলিকল পুষ্টি পায়, চুল পড়া কমে, নতুন চুলও গজায়।
