গুড় এবং ভাজা ছোলা দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। উভয়ই পুষ্টিতে ভরপুর যা শরীরকে শক্তি জোগায়। গুড়ের মধ্যে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। ভাজা ছোলা খেলে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, মিনারেল এবং পটাসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে ছোলা এবং গুড় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত ফোলেট এবং জিঙ্কের পরিমাণ স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া রোস্টেড ছোলা ত্বকের অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. বিদ্যা গুপ্তা বলেন, ভাজা ছোলা এবং গুড় পুরুষদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। গুড়ের মধ্যে প্রচুর আয়রন, প্রোটিন এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।এই দু’টি উপাদান নিয়মিত সেবন করলে মাংসপেশি মজবুত হয় এবং ওজনও দ্রুত কমে। গুড় ও ছোলা খেলে পুরুষরা দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারেন।পুরুষরা নিয়মিত এটি সেবন করলে তাদের মনে রাখার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।গুড় এবং ছোলায় প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। গুড় এবং ছোলা নিয়মিত খাওয়া হলে মহিলাদের রক্তাল্পতাও দূর হয়।গুড় এবং ছোলায় ক্যালসিয়াম ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়। যার কারণে এটি দুর্বল হাড়কে মজবুত করে। এমন অবস্থায় গুড় এবং ভাজা ছোলা নিয়মিত ব্যবহার করা হলে তা হাড়ের রোগ থেকেও দূরে রাখবে।প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গুড় এবং ছোলা। কারণ এই দুটটিতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তবে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়বে।ভাজা ছোলা এবং গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যার কারণে এটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। ফাইবারের থাকার কারণে বারবার খিদে পায় না। অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা যায়।ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া গুড় এবং ছোলা খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও এড়ানো যায়।
