দক্ষিণের খাবার মানেই তাতে কারিপাতার ফোড়ন থাকবে। ইদানীং বাঙালির ডাল, তরকারি কিংবা মাছ-মাংসের পদেও কারিপাতার অবাধ বিচরণ। এই পাতার সুন্দর গন্ধ খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। তবে শুধু স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, আয়ুর্বেদেও কারিপাতার বিশাল গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এই পাতার রয়েছে হরেক ভেষজ গুণ।কারিপাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই। পেটের সমস্যা হোক বা চুল ঝরা, সবেতেই কাজে আসে কারিপাতা।হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পাতা। প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে, কারি পাতায় থাকা ল্যাক্সেটিভ প্রপাটি শুধু যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় তা নয়, পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত সব উপাদনও বার করে দেয়।বর্তমানে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। বোলপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক অনির্বাণ সিংহ জানান, হার্ট ভাল রাখে কারিপাতা। কারি পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে পারে। সেই সঙ্গে রক্তে ভাল কোলেস্টরলের পরিমাণও বাড়ায়।ওজন কমায় কারিপাতা। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করলে বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।কারিপাতায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন চোখের জন্য বেশ জরুরি। ফলে কারিপাতা ভেজানো জল খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
