শুকনো ফলের মধ্যে, বেশিরভাগ লোকজন কাজু (কাজু উপকারিতা) পছন্দ করে কারণ এটির স্বাদ ভাল। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর, যার কারণে অনেকে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫টি কাজু খান। তবে, ডাক্তারের কথায়, রোজ খেতে হবে ৪ থেকে ৫টি কাজু। তাতেই হবে কামাল।উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার গউচার হাসপাতালের ডাঃ রজত বলেছেন যে কাজু গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, হাড় মজবুত করতে, বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং চুলের জন্যও খুব উপকারী।নিয়মিত কাজু বাদাম খান তাঁদের ওজন ঝরতে শুরু করে। কাজু এবং অন্যান্য বাদামে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকারী ফ্যাট মেটাবলিজেম হার বাড়ায়। ফলে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট বার্ন করা সহজ হয়। তাছাড়া কাজু একবার খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরে থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে উলটোপালটা খাবার খাওয়ার দরকার পড়ে না। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরিও প্রবেশ করে না। ফলে ওজনও বাড়ে না।ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিতে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক অসুখ। নিয়মিত কাজু খেলে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রায় ভারসাম্য আসে। কাজু ভিটামিন ই-এর একটি ভাল উৎস যা স্নায়ু কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথার সমস্যা কমতেও সাহায্য করে।প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিনের উৎস হল কাজু। উপাদানটি এক ধরনের ফ্ল্যাভোনল যা শরীরে ক্যানসার কোষের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয়।কাজুতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং অসম্পৃক্ত চর্বি যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়। কাজু আজীবন যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।তবে, আপনি জেনে অবাক হবেন যে এর উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অনেক অপকারিতাও। বেশি খেলে স্থূলতা, মাথাব্যথা, অ্যালার্জি, পেট খারাপ, কিডনিতে পাথর এবং ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে।
