লাইফস্টাইল Health Tips: এক ড্রিঙ্কেই হবে চরম কামাল, ডায়াবেটিস হবে বশ, শরীরের মেদও হবে ভ্যানিশ Gallery May 8, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মকালে খানাপিনার বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। তাই এই সময় খাদ্যতালিকায় ঠান্ডা জিনিসগুলি তো রাখতেই হবে। আর তার সঙ্গে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত, যা আমাদের শক্তি জোগাবে। এর মধ্যে অন্যতম হল মিলেট। গরমের দিনে তা সহজেই খাওয়া যেতে পারে। আর এই ধরনের মিলেট পেটের জন্য তো ভালই এবং পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সক্ষম। Photo- File দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে মিলেট। এর পাশাপাশি, ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগীদের জন্যও উপকারী এই দানাশস্য। যা বাজারে সহজলভ্য। আসলে মোটা দানার শস্যকেই মিলেট বলা হয়, আর এটা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। মিলেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন পাওয়া যায়। বীরেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি ফরিদাবাদের বল্লভগড় মান্ডিতে মিলেটের পানীয় বিক্রি করেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে মিলেট বিক্রি করছেন। বীরেন্দ্র বলেন, “এখন আমি রাস্তায় মিলেট বিক্রি করছি, যাতে মিলেটের উপকারিতা সম্পর্কে সকলে জানতে পারেন।” এই মোটা দানাশস্যের তালিকার মধ্যে অন্যতম হল বাজরা, রাগি, বেরি, ঝাঙ্গোড়া, কুটকি, ছোলা এবং বার্লি ইত্যাদি। যা ক্যালসিয়াম এবং ফোলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই মিলেট সেবনের মাধ্যমে অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হজমশক্তি ভাল হয়, হাড় মজবুত হয় এবং দেহের ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এখানেই শেষ নয়, মিলেট আবার হার্টের জন্যও উপকারী। আবার যাঁরা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যও উপকারী। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে মিলেট। মিলেট শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে:মিলেট সহজে হজমও করা যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, মিলেট ঠান্ডা প্রকৃতির খাবার। তাই এর ব্যবহার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। খাদ্যতালিকায় মিলেট অন্তর্ভুক্ত করার উপায় কী? এটির লস্যি কিংবা রাবড়ি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর মিলেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস পাওয়া যায়। যা হাড় মজবুত করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সুস্থ রাখে। কংনি বাজরা থেকে পোলাও, কাটলেট এবং ইডলি তৈরি করা যায়। আবার কোদো মিলেট সেবনে বার্ধক্যের লক্ষণ কমে যায় এবং ত্বকও থাকে তরতাজা। বীরেন্দ্র বলেন, বাড়িতে বানাতে চাইলে প্রথমে মিলেট ভাল করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে জল অথবা দুধ মিশিয়ে লস্যি বানানো যেতে পারে। বর্তমানে তিনি গ্লাস প্রতি ২০-৩০ টাকা দরে এই পানীয় বিক্রি করছেন।