সকাল থেকেই আকাশ কালো করে মেঘ। চলছে বৃষ্টির দাপট। রিমল-এর তাণ্ডবে সকাল থেকেই বৃষ্টিভেজা সকাল, সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া। অফিস যেতে গিয়েই হোক বা অন্য কোনও কাজে। ঘরের বাইরে বেরিয়েই ভিজে গিয়েছেন প্রচুর মানুষ।বৃষ্টিতে ভিজতে অনেকেরই ভাল লাগে। আবার সামনেই আসছে বর্ষাকাল। আবার ফলে বিভিন্ন কারণে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে যান। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলেই সর্দি, কাশি, সর্দি, জ্বর বা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও সংক্রমণে ঝুঁকেও কমে যাবে।ভিজে গেলেও ঠান্ডা থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য মনে রাখুন বেশ কয়েকটি সহজ টিপস্। এইসব ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিতে ঠান্ডা লাগার সংক্রমণ থেকে নিজেকে খানিকটা রক্ষা করা যাবে।বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পর বাড়িতে এসে প্রথমেই যত দ্রুত সম্ভব ভেজা জামাকাপড় খুলে ফেলুন। ভেজা জামাকাপড় ছেড়ে তাড়াতাড়ি শুকনো জামাকাপড় পরে নিন। ভেজা জামাকাপড় থেকেই বেশি ঠান্ডা লাগে।শরীর থেকে জল দ্রুত মুছে নেওয়াও খুব জরুরি। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ভাল করে মাথা মুছে নিন। শরীরে তেল লাগান, এতে ত্বক শুষ্ক হবে না।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্নান করে নিন। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে স্নান করা খুবই লাভজনক। স্নানের জল যেন খুব বেশি ঠান্ডা না হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে স্নান করে ভাল করে শরীর মুছে তারপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে করে শরীরে আর্দ্রতা আটকে থাকবে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।যদি বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে অফিস বা এমন কোনও জায়গায় যান যেখানে স্নানের সুবিধে নেই, সেক্ষেত্রে ভরসা হতে পারে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ক্রিম। স্নান না করলেও এই ক্রিম লাগিয়ে নিন। বৃষ্টির জল থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি বা অফিসে পৌঁছানোর পর গরম কাথ্ব খেতে পারেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। সর্দি, কাশি এবং ফ্লু এড়াতে এটি একটি কার্যকর উপায়।যদি বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে পৌঁছান তবে কখনই ফ্যানের নীচে বসবেন না। এতে বেশি ঠান্ডা লাগতে পারে। যেকোনও ধরণের ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন। গরম জিনিস খেতে পারেন।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
