প্রতিকী ছবি

Healthy Choices: কথা বলার সময় মেনে চলুন এই কয়েকটা টিপস, আপনি-ও হয়ে উঠতে পারেন সুবক্তা 

উত্তর দিনাজপুর: আপনার কথাই আপনার পরিচয়। ব্যক্তিগত বা সামাজিক সম্পর্ক তো বটেই, পেশাগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কথোপকথন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অনুকূল দাস জানান, কথা বলার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন।

প্রথমত কী বলবেন ভেবে নিন: কী বিষয়ে কথা বলবেন? আপনি কী জানতে চাচ্ছেন এবং কী জানাতে চাচ্ছেন তা আগে থেকে ঠিক করে নিন। আলাপচারিতা শুরুর আগে এই ভাবনার সঙ্গে আপনার কথোপকথন একেবারে খাপে খাপ মিলবে না ঠিকই, কিন্তু আপনার কথার একটা গতিশীলতা থাকবে আর আপনি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করবেন।

মন দিয়ে শুনুন: অপরজন যখন কথা বলছে তখন আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।

কীভাবে বলছেন; খেয়াল করুন, মাঝেমধ্যে সম্পূরক প্রশ্ন করুন। তার কথার খানিকটা প্রতিফলনও ঘটান নিজের কথায়।

চোখ-হাসি-দেহ-ভঙ্গি: মুঠোফোনের দিকে তো নয়-ই। এদিক সেদিক-ও নয়। যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর চোখের দিকে তাকান। আলাপচারিতার সময় হাসি খুশি থাকুন। দেহভঙ্গি রাখুন ইতিবাচক। সঙ্গে মাথাও নাড়াতে হবে পরিস্থিতি বুঝে।

প্রশংসা করুন: প্রশংসা শুনতে কার না ভাললাগে। তবে যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্যের চাইতে তাঁর রুচি কিংবা কাজের প্রশংসা করার চেষ্টা করুন। প্রশংসাবাক্য দিয়ে আলাপ শুরু করতে পারেন।

অপরকে জানুন এবং সম্মান করুন: অপরের ভালোলাগা-মন্দলাগা  জানার  চেষ্টা করুন। চট করে সমালোচনা করে বসবেন না। ভুল ধরবেন না। ব্যক্তিগত সীমার মধ্যে ঢুকে পড়তে চেষ্টা করবেন না।

সমতা ও নীরবতা: এক নাগাড়ে কথা বলতে থাকবেন না। অপরজনকে বলার সুযোগ দিন। আবার অপরজন কথা বলছেন বলে যে আপনি একেবারে চুপ করে থাকবেন, সেটাও নয়। কথা বলতে বলতে হঠাৎ দু’জনেই চুপ হয়ে গেলে নিজের কোন ভাবনাকে সামনে নিয়ে আসতে পারেন।

পিয়া গুপ্তা