সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ চুলকানো একটি সাধারণ অভ্যাস। যা বেশিরভাগ মানুষই অবচেতনভাবে করে থাকেন। কিন্তু এটি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। যখন আমরা ঘুম থেকে উঠি এবং আমাদের চোখে অসম্পূর্ণ ঘুম জড়িয়ে থাকে, তখন প্রায়ই। তবে এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যা জানা গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির এইচবিএএস হাসপাতালের প্রাক্তন বাসিন্দা ডাঃ ইমরান আহমেদ জানিয়েছেন, কেন চোখ ঘষার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত?আমাদের হাতে ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা থাকে। বিশেষ করে সারারাত ঘুমানোর পরে যখন আমরা আমাদের চোখ ঘষি, তখন এই ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা আমাদের চোখে প্রবেশ করতে পারে, যার কারণে কনজেক্টিভাইটিস এবং অন্যান্য ধরণের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।চোখের চারপাশের ত্বক খুবই কোমল। আপনার চোখ ঘষা এই সূক্ষ্ম ত্বকে অতিরিক্ত চাপ দেয়, যা এটিকে বাড়াতে করতে পারে। তৈরি হতে পারে বলিরেখা। এটি বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং চোখের চারপাশের ত্বককে দুর্বল করতে পারে।চোখ ঘষলে চোখের স্নায়ুর Gপর চাপ পড়ে, যা দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এটি গ্লুকোমার মতো গুরুতর অবস্থার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যাতে চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।চোখ ঘষা দৃষ্টিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। অত্যধিক ঘষা চোখের পরিষ্কার কর্নিয়ার ক্ষতি করতে পারে। এটি ঝাপসা দৃষ্টি এবং অন্যান্য দৃষ্টিগত সমস্যা হতে পারে।যদিও এটি খুব বিরল, তবু অত্যধিক চোখ ঘষার ফলে রেটিনাল বিচ্ছিন্নতার মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। রেটিনা বিচ্ছিন্নতা এমন একটি অবস্থা যেখানে রেটিনা তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং যদি সময়মতো চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোনো অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাহলে আপনার চোখ ঘষলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। চোখে চুলকানি হতে পারে। যা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।চোখ ঘষার অভ্যাস ছাড়া সহজ নয়। এর জন্য কিছু অভ্যেস করতে পারেন।চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।চোখের ফোলাভাব ও চুলকানি কমাতে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধোয়া উপকারী হতে পারে।চোখ পরিষ্কার করার জন্য একটি নরম কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করুন এবং চোখ ঘষা এড়িয়ে চলুন।
