পূর্ব বর্ধমানে শুরু ধান রোয়ার কাজ৷

বৃষ্টির ঘাটতি মিটল অনেকটাই, জোর কদমে ধান রোয়া শুরু রাজ্যের শস্যভাণ্ডারে

বর্ধমান: প্রয়োজনের জলের চাহিদা মিটতেই জোর কদমে ধান রোয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল রাজ্যে শস্য ভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলায়। রাজ্যের পাশাপাশি জেলায় জেলায় গত কাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চাষের জমিগুলিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তাতেই মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে চাষের কাজ। চাষিরা জানাচ্ছেন, চাষের জমিতে জল জমে গেলেও এক দু দিনেই তা নেমে যাবে। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ধান রোয়ার কাজ।

বৃষ্টির অভাবে এতদিন চাষ বন্ধ ছিল। মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছিল। বীজ ধান মরে যাচ্ছিল। এই বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বীজতলা। কৃষকরা বলছেন, সব এলাকা ডিভিসির জল পায় না। আবার সাব মার্সিবেল পাম্প দিয়ে মাটির তলার জল তুলে চাষ করতেও খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই সেই এলাকায় ধান চাষের জন্য বৃষ্টির জলই ভরসা। সেই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন কৃষকরা।

জুন-জুলাই মাসের বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টি। এতে ধান রোয়ার মতো প্রয়োজনীয় জল মিলেছে। তাতেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ধান রোয়ার কাজ। এই বৃষ্টি পাট চাষের ক্ষেত্রেও উপকারে আসবে।কারণ পাট পচানোর জন্য জলের ঘাটতি ছিল। জলাশয়গুলি জলে ভরে উঠেছে। এবার পাট পচানোর জলের আর অভাব থাকবে না। তবে বেশ কিছু জায়গায় পুকুর জমি এক হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষিরা। পুকুর থেকে মাছ বেরিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সন্দেহে দমকলে চাকরি পেয়েও বাদ! সব শুনে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার সবজি চাষ৷  এই জেলার দামোদর, ভাগীরথী, অজয় নদীর চরে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়। এছাড়াও পূর্বস্থলী ১ ও ২ নম্বর ব্লক, কালনা,মন্তেশ্বর, মেমারি, জামালপুরে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়ে থাকে। অতিবৃষ্টিতে সবজি গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে ফলন অনেক কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাতে বাজারে আবার বাড়তে পারে সবজির দাম।

জেলা কৃষি দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় যে বৃষ্টি হয়েছে তা ধান চাষের পক্ষে খুবই কার্যকর হবে। কিছু সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিটি ব্লক থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।