Tag Archives: purba bardhaman
সব পড়ুন পূর্ব বর্ধমান নিউজ (Purba Bardhaman News) এখানে
East Bardhaman News: পুড়ছে গোটা বাংলা, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, চরম ভোগান্তি সকলের, তবুও চাষিদের কোনও কষ্ট হচ্ছে না! কারণটা কী?
পূর্ব বর্ধমান: তীব্র গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কার্যত উল্টো সুর, এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন প্রত্যাশা তাদের? কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।
বিগত বেশ কয়েকদিন যাবত গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম ও মারাত্মক তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের দহন জ্বালায় কার্যত পুড়ছে গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই চাইছে গোটা বাংলার মানুষ। আট থেকে আশি, সকলেই তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় চেয়ে রয়েছে সবাই। কিন্তু এহেন অবস্থাতে কার্যত উল্টো সুর এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। স্বস্তির বৃষ্টি নয়, তারা চাইছেন আরও কিছুদিন বজায় থাকুক এই আবহাওয়া।
তীব্র এই রোদ গরম স্থায়ী হোক আরও কিছুদিন। আর তাতেই নাকি হাসি ফুটবে তাদের মুখে। কিন্তু কেনই বা এমন ভিন্ন কথা তাদের মুখে ? কারাই বা চাইছেন এই কাঠফাটা রোদ? আসলে যারা এই তীব্র রোদ গরম চাইছেন তারা রাজ্যের শস্য ভান্ডারের অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষি। কিন্তু কেন এমন চাইছেন তারা? আসলে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, এখন সব মাত্র বোরো ধান পেকে, তাতে সোনালি রঙ ধরা শুরু হয়েছে। সেই ধান কেটে, ঝেড়ে ঘরে তোলা এখনও বাকি। আর তাই এমন ভিন্ন ধর্মী চাওয়া তাদের। এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষ চাষিরা বলেন, “রোদে গরমে থাকতে পারা যাচ্ছেনা, কিন্তু এরকম রোদ থাকা ভাল। কারণ মাঠে ধান আছে সেগুলো তুলতে সুবিধা হবে। এরকম রোদ আরও দিন দশেক থাকলে আরও বেশি ভাল হয়। আমরা চাষি লোক , এই রোদ থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।”
গোটা রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব বর্ধমান অন্যতম। রাজ্যে এর পরিচিতি শস্যভান্ডার হিসেবে। ধান হল পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল। বিভিন্ন উন্নত ও সুগন্ধি প্রজাতির ধান চাষে এই জেলার সুনাম রয়েছে সর্বত্রই। জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বোরো ধান চাষ হয় ব্যাপক পরিমাণে। অন্যান্য বছর বৈশাখের এই সময় বিকেলের দিকে প্রায়শই কালবৈশাখীর তান্ডব দেখা যায়। কিন্তু এই বছর তীব্র তাপপ্রবাহে দেখা যায়নি সেই ছবি।
আর তাতেই নাকি উপকার হয়েছে জেলার ধান চাষিদের। অন্যদিকে জেলার কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। মূলত আমন ধান চাষের মরশুম শেষ হবার পরে বোরো ধানের চাষ শুরু হয় বাংলার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি বোরো ধান রোপন করা হয়। সেই ধান কাটা ও ঝাড়ার কাজ চলে বাংলার বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ ও অর্থাৎ ইংরেজি এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। তীব্র গরমের স্বস্তির বৃষ্টির দেখার না মেলায় রাজ্যবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা হলেও, এতে খুশি পূর্ব বর্ধমানের বোরো ধান চাষিরা। কালবৈশাখীর দাপট পাকা ধানে মই না দেওয়ায় দহন জ্বালা সহ্য করেও, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারার আশায় মুখে হাসি ফুটেছে তাদের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Purba Bardhaman News: এত গুণী মানুষ থাকেন এখানে, প্রতি ঘরেই তৈরি হচ্ছে কাঠের পুতুল, প্রাণ পাচ্ছে নতুন সৃষ্টি
Purba Bardhaman News: জল নেই ! চরম সমস্যার সম্মুখীন সবজি চাষিরা
পূর্ব বর্ধমান, পূর্বস্থলী: পূর্ব বর্ধমান জেলা যা রাজ্যের শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে ধান চাষ হয়। জেলার প্রত্যেকটা ব্লকের চাষিরাই কমবেশি ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত। তবে এই পূর্ব বর্ধমান জেলাতে ধান চাষ বেশি হলেও এখন অনেকে সবজি চাষের উপরেও বেশি ঝুঁকছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত একটি ব্লক হল পূর্বস্থলী। এই পূর্বস্থলী ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েক বছর ধরে চাষিরা সবজি চাষ করছেন।ধান চাষ তো হয়ই কিন্তু তার পাশাপাশি পূর্বস্থলী ব্লকের চাষিরা সবজি চাষের দিকেও নজর বাড়িয়েছেন। তবে এবার সবজি চাষ করতে গিয়েও চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের চাষিদের।
পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের হিসি এলাকার চাষিদের সবজি চাষ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। চাষিদের কথায় বর্তমানে এই এলাকায় পটল ,ঢেড়স, ঝিঙে, বরবটি সহ ফুলকপি , বাঁধাকপি সহ আরও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। কিন্তু সবজি চাষ করতে গিয়েও এবার নাজেহাল হয়ে উঠছেন এই এলাকার চাষিরা। তবে কি কারণ রয়েছে যার জেরে নাজেহাল হয়ে উঠছেন চাষিরা। কি কারণেসবজি চাষ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষিদের। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই বিষয়ে চাষিরা ঠিক কি জানাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে বলরাম দাস নামের এক সবজি চাষিবলেন, “চাষ করতে চরম সমস্যা হচ্ছে তীব্র জল সংকট রয়েছে, জল না থাকার কারণে সবজি সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্যালো মেশিন থেকেও জল উঠছে না। এক একটা কোনও কোনও মেশিন থেকে গভীর রাতে জল তোলা সম্ভব হচ্ছে। চাষের খরচও এখন অনেক বেড়েছে।”
আরও পড়ুন : কৃষকরা দেখছেন লাভের মুখ! কোন সবজি চাষে লক্ষ্মীলাভ, জেনে নিন
রাত জেগে সবজিতে জল দিতে হচ্ছে এলাকার চাষিদের। তাদেরকথায় এক ঘন্টা জল দিলে যেটা হয়ে যেত বর্তমানে তিন ঘন্টা জল দিয়েও সেই সমস্যা মিটছে না। পাশাপাশি বাড়ছে চাষের খরচও, একই সঙ্গে তীব্র রোদের কারণে সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েও বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। এই প্রসঙ্গে আর এক সবজি চাষিবলেন, “গভীর রাতে আমাদের এখন জল দিতে হচ্ছে আমাদের চরম সমস্যা হচ্ছে এই সমস্যার কোনও মাপকাঠি নেই।”
আরও পড়ুন : গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশুপাখিদেরও! চিড়িয়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা
বৃষ্টি নেই দীর্ঘদিন, আর সেই কারণেই মাটির তলায় জলস্তর নেমেছে অনেকটা। যার ফলে দিনের বেলায় কোনও রকমই শ্যালো মেশিন দিয়ে জল তুলতে পারছেন না পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের হিসি এলাকার সবজি চাষিরা। সব মিলিয়ে বর্তমানে ব্যাপক সমস্যায় রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকার সবজি চাষিরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
চাষিরা মনে করছেন যদি বৃষ্টি হয়, তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে। তা না হলে বৃষ্টির অভাবে হয়তসব সবজি জমিতেই নষ্ট হয়ে যাবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Purba Bardhaman News: কৃষকরা দেখছেন লাভের মুখ! কোন সবজি চাষে লক্ষ্মীলাভ, জেনে নিন
পূর্ব বর্ধমান: কচু চাষ করে আয় করছেন পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকার কৃষকেরা। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী বাজারে রয়েছে এই কচুর বিশেষ চাহিদাও। পূর্ব বর্ধমান জেলার অর্থনীতির একটা বড় উৎস হল কৃষিকাজ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় হয় নানা ধরনের সবজি চাষও। যা পৌঁছে যায় জেলা তথা রাজ্যের একাধিক বাজারে।
তেমনই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের একটি গ্রাম হল আলমপুর, যে গ্রামের ডাঁটা বিখ্যাত রাজ্য তথা দেশের একাধিক জায়গায়।তবে কেবল ডাঁটাই নয়। কৃষি প্রধান এই গ্রামটিতে সারা বছর চাষ করা হয় একাধিক ফসল। যার মধ্যে অন্যতম হল কচু। কচু চাষ করে আয় করছেন পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া ১ ব্লকের কৃষকরা। জেলার স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী বাজারে আলমপুরের কচুর রয়েছে বিশেষ কদর। বর্তমানে খরচের পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, মোটামুটি লাভের মুখ দেখেন এই গ্রামের চাষিরা।
এক কৃষক বলেন, “আমরা কচু চাষ-সহ বিভিন্ন ধরনের চাষ করে থাকি। এক বিঘা জমিতে কচু চাষ করতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে ভাল ভাবে যত্ন সহকারে চাষ করলে অনেক টাকা লাভও হয়। এই কচু কাটোয়া বাজার-সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়।” কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলমপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কচু চাষ হয় মূলত বছরের এই সময়টায় কচু চাষ করা হয়। যা বিক্রি করা হয় স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজার। এই এলাকার কৃষকেরা জানাচ্ছেন দীঘা প্রতি বেশ কিছুটা টাকা খরচ হলেও কচু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পান তাঁরা।তবে লাভের মুখ দেখলেও, চাষের কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে এলাকার কৃষকেরা। যে সমস্যার কারণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের জোগান না থাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ বিকল হয়ে থাকা সাবমারসিবল মেরামত করে দিলেও, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মিলছে না সেখান থেকে।
আরও পড়ুন: ভোট এলেই বিরাট চমক! সাজিয়ে ফেলেন নিজের ভ্যান, তারপরেই শুরু…
তাই প্রায়ই চাষ করতে গিয়ে বিশেষ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আলমপুরের চাষিদের। এক কৃষকের প্রতিক্রিয়া, “প্রথমে চাষিদের জন্য যে সাবমারসিবল ছিল সেটা খারাপ ছিল। তবে পরবর্তীতে সারিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরে খুবই অল্প পরিমাণে জল বেরোচ্ছে। এর থেকে না সারানোই ভালো ছিল এই সবমারসিবেল। এখন আমাদের জল কিনে চাষ করতে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের আলমপুর গ্রামে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সবজি চাষ হয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম আলমপুরের ডাঁটা এবং কচু। তবে ডাঁটা এবং কচু ছাড়াও বেগুন, কুমড়োর মতো একাধিক সবজি চাষ হয় এই মাঠে গ্রামের একাংশের আয়ের উৎস কৃষি কাজ। বিভিন্ন মরশুম সবজি চাষ করে জীবনযাপন করেন তাঁরা। তাই অবিলম্বে জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আরজি জানাচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Drinking Water: টাইম কল থাকলেও নেই জল! প্রবল সমস্যায় এই গ্রামের বাসিন্দারা
টাইম কল থেকে ঠিক মতো জল না পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর কমলনগর এলাকার। আর ঘটনা নিয়েই ছড়িয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
East Bardhaman News: ‘দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা করবেন না!’, কোন দোকানে ভোটের কথা বলা মানা, দেখুন
Purba Bardhaman News: এক হাতে ধরবে না এত বড় মিষ্টি! কোথায় গেলে পাবেন, জেনে নিন
এক হাতে ধরা যায় না একটা মিষ্টি! দুটো হাত ব্যবহার করে গামলা থেকে তুলতে হয় মিষ্টিকে। বিশাল আকারের এক-একটা মিষ্টি কিনলে পেট ভরে যাবে পুরো পরিবারের। আর এই বিশালাকার মিষ্টির টানেই প্রতি বার মেলায় ভিড় জমান বহু মানুষ। দোল উৎসবকে ঘিরে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার মেলা এখন ‘মিষ্টি মেলা’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। দোলের দিন থেকে চার দিনের মেলায় বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হলেও, এখানকার বিশাল আকারের মিষ্টিই ক্রেতাদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
Purba Bardhaman News: এক হাতে ধরা যায় না! এত বড় মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে কোথায়, ভিড় জমাচ্ছেন সকলেই
পূর্ব বর্ধমান: এক হাতে ধরা যায় না একটা মিষ্টি! দুটো হাত ব্যবহার করে গামলা থেকে তুলতে হয় মিষ্টিকে। বিশাল আকারের এক-একটা মিষ্টি কিনলে পেট ভরে যাবে পুরো পরিবারের। আর এই বিশালাকার মিষ্টির টানেই প্রতি বার মেলায় ভিড় জমান বহু মানুষ। দোল উৎসবকে ঘিরে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার মেলা এখন ‘মিষ্টি মেলা’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। দোলের দিন থেকে চার দিনের মেলায় বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হলেও এখানকার বিশাল আকারের মিষ্টিই ক্রেতাদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
চলতি বছরও পাঁচ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা মূল্যের মিষ্টি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে মিষ্টি কিনে খাচ্ছেন, আবার আত্মীয়দের জন্য কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে এই মেলা মিষ্টি মেলা নামে পরিচিত হলেও স্থানীয় জমিদারবাড়ির দোল উৎসব উপলক্ষেই মেলা বসে। সুজিত ঘোষ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “৫০০ বছরেরও আগে থেকে জমিদারদের পরিচালনায় হয়ে থাকে এই মেলা। এখন দোগাছিয়া অঞ্চলের জাতীয় উৎসব হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে এই দোল উৎসব। তবে এখন এই মেলায় ব্যাপক মিষ্টি কেনাবেচা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে মিষ্টি কিনতে বহু মানুষ আসেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চৌধুরী পরিবারের দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে রাধা গোবিন্দের দোল উৎসব পালিত হয়। আগে মেলা বসলেও এত জাঁকজমকভাবে মেলা হতো না।
আরও পড়ুন: স্বাদ বদলাতে এবার খান বেসনের হালুয়া! চটপট বাড়িতে বানিয়ে নিন এভাবে, চমকে যাবেন অতিথিরা
আরও পড়ুন: হোটেলের থেকেও সুস্বাদু মালাই চা বানিয়ে নিন বাড়িতেই! জেনে নিন সহজ রেসিপি
তবে প্রায় চার দশক ধরে জাঁকজমকভাবে এখানেই হচ্ছে বড় মিষ্টির মেলা। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা দামের মিষ্টিও পাওয়া যায় এই মেলায়। দেড় হাজার টাকা পিসের বিশালাকার ল্যাংচা রসগোল্লা নজর কাড়ে সকলেরই। এছাড়াও মেলায় থাকে হরেক রকমের মিষ্টির সম্ভার। এক মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, তাঁদের কাছে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা দামের মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে। ছানা, চিনি, অ্যারারুট , সুজি দিয়ে তাঁরা বিশালাকার মিষ্টি তৈরি করেন। হাজার টাকা দামের মিষ্টি তৈরিতে দু’কেজি ছানা লাগে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন বিক্রিও বেশ ভালই হচ্ছে। বছরভর তাঁরা এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন বলেও জানান।
দোলের দিন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলে চারদিন পর্যন্ত। বিশালাকার মিষ্টি দিয়ে দোগাছিয়া গ্রামে আত্মীয় আপ্যায়নের রেওয়াজও চলে আসছে গত কয়েকশো বছর ধরে। মিষ্টি কেনার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলার মানুষেরাও ভিড় জমান এই মেলায়। মিষ্টিই যেন এখন হয়ে উঠেছে মেলার মূল আকর্ষণ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Danta: সজনে ডাটা তো নিয়মিতই খান কিন্তু সস্তার এই ডাটা খেয়েছেন, গুণ অপরিসীম, খেতেও দারুণ
পূর্ব বর্ধমান: বাঙালির রান্নাঘরে অতিপরিচিত কাটোয়ার ডাঁটা। জেলা পেরিয়ে ভিনরাজ্য এমনকি, বিদেশেও ছড়িয়ে এর সুনাম। তবু হতাশ এর চাষিরা।কিন্তু কেন? আপনার পাতে যে ডাটা পড়ছে তা আদৌআসল কিনা, জানেন তো ? বাংলার খাদ্য মানচিত্রে এক অতিপরিচিত নাম কাটোয়ার ডাটা।
তবে পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ডাটার বিস্তৃতি কেবল জেলাতে সীমাবদ্ধ নেই। এর মিষ্টি স্বাদের গুনে, এই ডাটা সমাদৃত ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশের মাটিতেও। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে নাকিএর চাহিদা তুঙ্গে। যার জেরে কাটোয়ার ডাটা এক আলাদা স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু জানেন কোথায় চাষ হয় এই ডাটা? কাটোয়ার কোন জায়গার ডাটা সুস্বাদু?
আরও পড়ুন – Health Tips: শরীর হবে একবারে চাঙ্গা, হাতের মুঠোয় সব শক্তি, খালি বছরে একবার করান এই কাজ
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া- ১ ব্লকের আলমপুর গ্রামে চাষ হয় এই ডাটা। বাইরের বাজারে, যা কাটোয়ার ডাটা নামে পরিচিত হলেওস্থানীয় মানুষদের কাছে এর পরিচিতি আলমপুরের ডাটা নামেই।
পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এই ডাটা চাষ করে আসছেন এখানকার চাষিরা।এই এলাকার কৃষকদের মতে, মাটির গুন এবং জৈব সারের জোরেই নাকি আলমপুরের ডাঁটার এই স্বাদ।চন্ডিচরণ ঘোষ বলেন, \”ডাটা চাষ তাঁরা ছোট থেকে দেখছেন। তবে কবে থেকে এই চাষ শুরু হয়েছে , তাঁরাও সঠিক বলতে পারবেননা বলে জানান। তিনি বলেন তাঁদের ডাটা চাষ ভালই হয়। আর ফলন হয়ে যায় মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যেই। আর বীজ তাঁরা নিজেরাই তৈরি করেন।\”এই ডাটা চাষ করে খুশি ননউক্ত এলকার কৃষকেরা। সর্বস্তরে সমাদৃত, কাটোয়ার ঐতিহ্য এই ডাটা চাষে লাভবান হন না কৃষকেরা। কাজল মন্ডল বলেন, \” তাঁদের ডাটা পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু জায়গাতেই বিক্রি হয়। তবে অন্যান্যরা তাঁদের ডাটার নাম ভাঙিয়ে অন্য ডাটা কাটোয়ার ডাটার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তাঁদের আলমপুরের ডাটা ( কাটোয়ার ডাটা ) সেই জায়গায় পৌঁছায় না।\”
এর পাশাপাশি আরও এক বড়সমস্যার সম্মুখীন আলমপুরের ডাটা চাষিরা। দীর্ঘদিন দিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে তাদের সাবমার্সিবল। যার জেরে ব্যাঘাত ঘটছে ডাটা সহ অন্যান্য চাষে। বেশি দাম দিয়ে জলের ব্যবস্থা করে চাষ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বেড়ে যাচ্ছে চাষের খরচও। অভিযোগ, এই বিষয়ে চাষিরা নির্দিষ্ট দফতরে আবেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি।
রাজ্য,ভিন রাজ্য তথা পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশে কাটোয়ার ডাটা কার্যত ব্র্যান্ডে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যেরই একধিক জায়গায় বিখ্যাত মন্দিরে ভগবানের ভোগের অন্যতম একটি পদ কাটোয়ার ডাটা। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ যারা আসল কাটোয়ার ডাটা উৎপন্ন করছেন, হাসি নেই তাদের মুখে।
Banowarilal Chowdhary