Hema Malini Baghban Role: চারটে বড় বড় ছেলের মায়ের ভূমিকা পছন্দ ছিল না, প্রথমে নাকচ করে দেন হেমা! পরে কার কথায় রাজি হলেন?

মুম্বই: বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর ভক্তদের একাধিক কিংবদন্তি ছবি উপহার দিয়েছে হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রি। এর মধ্যে কিছু কিছু ছবি তো কাল্ট বা কালজয়ী-র তকমা লাভ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘বাগবান’। এটা সাধারণত একটি পারিবারিক ছবি। আর রবি চোপড়া পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি ভক্তদের মনে এক দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রেখেছে। যদিও সাম্প্রতিক অতীতে হেমা মালিনী জানান যে, প্রথমে এই ছবির অফার নাকচ করার কথা ভেবেছিলেন তিনি।

ভারতী এস প্রধানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী বলেন যে, মায়ের জেদের কারণেই ‘বাগবান’ ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “বাগবান ছবির মহরতের আগে বিআর চোপড়া আমার সঙ্গে দেখা করে জানান যে, তিনি যেভাবে চান, ঠিক সেভাবেই চরিত্রটি করতে পারব আমি। আমাকে গল্পটি বলেন এবং আর তাঁর আশীর্বাদেই ছবিটি ভাল চলেছে। আজও ওই ছবির বিষয়ে মানুষ কথা বলেন। আমার মনে আছে, রবি চোপড়ার কাছে যখন গল্পটা শুনছিলাম, তখন আমার মা-ও সেখানে ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরে আমি বলেছিলাম যে, এত বড় বড় চারটে ছেলের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার কথা বলছেন! আমি কীভাবে এসব করব? আমার মা তখন বলেছিলেন, না না। এটা তোমায় করতেই হবে। কারণ গল্পটা ভাল।”

আরও পড়ুন:   হাড় থেকে কিডনি, হাজার সমস‍্যার সমাধান, তবুও বারণ! কাদের খাওয়া উচিত নয় ভুট্টা? জেনে নিন

প্রসঙ্গত ‘বাগবান’ আসলে এক বৃদ্ধ দম্পতির গল্প। যে দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী। তাঁদের প্রায় চল্লিশ বছরের বিবাহিত জীবন। অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রটি অবসর নেওয়ার পরেই ওই বৃদ্ধ দম্পতি চার পুত্রকে এক জায়গায় আনেন। মা-বাবাকে কে সাহায্য করবেন, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু কোনও পুত্রই একসঙ্গে মা-বাবার দায়িত্ব পালন করতে চান না। যার ফলে আলাদা থাকতে হয় ওই দম্পতিকে। এই ছবিটি দর্শকদের মনে রীতিমতো ঝড় তুলে দেয়। বহু মানুষের উপর এর প্রভাব ছিল।

অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনীর পাশাপাশি এই ছবিতে তাঁদের পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আমন ভার্মা, সমীর সোনি, সাহিল চাড্ডা এবং নাসির খান। এখানেই শেষ নয়, ক্যামিও রোলে দেখা গিয়েছিল সলমন খানকেও। ছবির বাজেট ছিল ১০ কোটি টাকা। তবে বক্স অফিসে ‘বাগবান’-এর সংগ্রহ ছিল ৪১ কোটি টাকা।