৩০ দিন আগেই বুঝে যাবেন হার্ট অ‍্যাটাক হবে!

হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়! লাইফস্টাইলে ‘এই’ ছোট্ট বদল আনলেই হবে

কলকাতা: করোনা অতিমারির পর থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রৌঢ় বা বৃদ্ধরা তো বটেই, বাদ যাচ্ছেন না তরুণরাও। অনেকে মারাও গিয়েছেন।

বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ কী? অনেকেই এমন প্রশ্ন করেন। তাছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায়ও জানতে চান। সে সবেরই উত্তর দিয়েছেন দিল্লির কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ।

দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে রয়েছে ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টার। এখানে কার্ডিওলজি বিভাগের দায়িত্ব সামলান ডা. অসীম। তিনি ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের চিকিৎসা করছেন।

আরও পড়ুন- দার্জিলিংয়ের এই গ্রাম মোহময়ী, হোমস্টের সব ঘরই কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে, ঘুরে আসুন

তাঁর সঙ্গে তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলে লোকাল ১৮-এর টিম। তিনি বলেন, “কোভিড ১৯ আমাদের সবার শরীরে বড়সড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা হয়েছে হৃদপিণ্ডে। অনেক সময় হার্টে ক্লট হয়। অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তখন রক্ত আর হার্টে পৌছতে পারে না। তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের এটাই সবচেয়ে বড় কারণ”।

এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে: ডা. অসীম বলেন, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে চাইলে ধূমপান এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা উচিত। অনেকে শরীর ঠিক রাখতে জিমে যান।

কিন্তু এও দেখা গিয়েছে, জিমে গিয়ে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সে জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর যুবকদের প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা করানো উচিত। যেমন ইসিজি। এই পরীক্ষা বলে দেবে, হার্টের অভ্যন্তরে কোনও বড় সমস্যা আছে কি না।

আরও পড়ুন- সস্তার এই সুস্বাদু শাকে ওজন কমবে হুহু করে, ডায়াবেটিস থাকব বশে, কমবে

ডা. অসীমের মতে, প্রতি ৩ থেকে ৫ বছর অন্তর এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। যদি কারও বুকে ব্যথা হয়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে অবিলম্বে ভাল কার্ডিওলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

এসব এড়িয়ে চলতে হবে: ডা. অসীম বলেন, খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ডায়েটে রাখতে হবে ফলমূল, সবুজ শাকসবজি এবং হালকা খাবার যেমন ডাল ও রুটি। মাংস, মাখন, ঘি, বার্গার, পিৎজা ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে প্রচুর কোলেস্টেরল থাকে।