Tag Archives: Heart
হার্টের কঠিন অসুখ ‘ভারত অধিনায়কের’! হল অস্ত্রোপচার, হঠাৎ খবরে স্তম্ভিত ক্রিকেট দুনিয়া
দিল্লি: বর্তমানে ছুটিতে থাকলেও সামনেই ঠাসা ক্রিকেট সূচি রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। চলতি বছরেই ১০টি টেস্ট ম্যাচের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক টি-২০ সিরিজ। ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন শ্রীলঙ্কা সফরে একদিনের সিরিজে হারের ধাক্কা কাটিয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি সারছেন, ঠিক তখনই সামনে এল খারাপ খবর। জানা গিয়েছে হার্টের কঠিন অসুখে আক্রান্ত বিশ্বকাপ জয়ী ‘ভারত অধিনায়ক’।
কথা হচ্ছে ভারতের প্রাক্তন অনুর্দ্ধ-১৯ অধিনায়ক যশ ধূলের। ২০২২ সালে ভারতের অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্চমবারের জন্য ‘ছোটদের বিশ্বকাপ’ জিতেছিল ভারতীয় দল। ব্যাট হাতেও চমকপ্রদ পারফরম্যান্স করেছিলেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১০ রানের অনবদ্য ইনিংস স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে।
যশ ধূলের উজ্জ্বল কেরিয়ার নিয়ে আশাবাদী ছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মাত্র ২০ বছর বয়সেই যশের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তা’রা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নজর কাড়ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি জানা যায় তাঁর হার্টের ভয়ঙ্কর অসুখে আক্রান্ত হওয়ার খবর। এমনকী জীবন-মরণ লড়াই ছিল তরুণ ক্রিকেটাররে কাছে।
জানা গিয়েছে যে মাস দুয়েক আগে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রুটিন চেক-আপ চলাকালীন চিকিৎসকেরা দেখতে পান যশের হৃদযন্ত্রে একটি ছিদ্র রয়েছে। তাঁদের পরামর্শেই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার। পরে যশ ধূলের পরিবার থেকে জানানো হয় এই হার্টের ছিদ্রটি জন্ম থেকেই রয়েছে। এনসিএ-র কথা মত অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয় যশ ধুল।
আরও পড়ুনঃ Indian Cricketers Retirement: টিম ইন্ডিয়ার ৬ তারকার অবসর! একের পর এক ধাক্কা, জানুন বিস্তারিত
সফল অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ফের মাঠে ফিরেছেন যশ ধূল। দিল্ল প্রিমিয়ার লীগে সেন্ট্রাল দিল্লি কিংসের হয়ে খেলছেন তিনি। তবে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেননি যশ। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “অতীতে কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমি অসুস্থতা সারিয়ে মাঠে ফিরেছি। একটু সময় লাগছে, কিন্তু আমি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছি। খেলার জন্য ১০০ শতাংশই দেবো।” চেনা ছন্দে ফের ভারতীয় ক্রিকেটের আঙিনায় ফিরুক যশ ধূল। শুভ কামনে ক্রীড়া প্রেমিদের।
Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর রয়েছে ৩টি হার্ট? উত্তর দিতে পারলে আপনি জিনিয়াস
Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর হৃৎপিন্ড মাথায় থাকে? উত্তর দিতে ব্যর্থ ৯০ শতাংশ
Heart Problem Solve: ৪০ চলছে? হার্ট অ্যাটাক কিন্তু সময় দেয় না! ৫টা ছোট্ট সমস্যা দেখলেই খুব সাবধান! অবহেলা করলে প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে
Heart: হার্ট দৌড়োবে…! দূরে থাকবে কোলেস্টেরল থেকে ক্যানসার…! বর্ষার এই ফল Super Fruit! শুধু কখন আর কী ভাবে খাবেন জানা মাস্ট
Health Tips: ছোট ছোট এই শস্যদানাই ‘পুষ্টির পাওয়ারহাউজ’, পেট থেকে হার্ট সব কিছুর মহৌষধ, উপকারিতা চমকে দেওয়ার মতো
হার্ট সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে এই ফুলের রস খুব কার্যকর, জেনে নিন আজই
কলকাতা: পাহাড়ি এলাকায় এমন অনেক গাছ এবং ফল, ফুল পাওয়া যায়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমরা যদি উত্তরাখণ্ডের গাছ রডোডেনড্রনের কথা বলি, তাহলে এর ফুল থেকে এমন রস তৈরি করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
বনাঞ্চলে সহজেই উপলব্ধ রডোডেনড্রন ফুল আজকাল উত্তরাখণ্ডের নানা জায়গায় ফুটে থাকে। স্থানীয় লোকজন সেইগুলি বন থেকে তুলে নিয়ে আসেন। এর পরে, এই ফুলগুলিকে আলমোড়ার সরকারি কমিউনিটি ফল সংরক্ষণ ও পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা হয় এবং তাদের রস তৈরি করা হয়।
এক কেজি রডোডেনড্রন ফুল থেকে প্রায় চার বোতল রস পাওয়া যায়। সরকারি দর অনুযায়ী এক লিটার রসের দাম ২০ টাকা। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ের অনেক স্থানেই এই রডোডেনড্রনের রস পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক-চারচাকা কিনছেন? এই কয়েকটি বিষয় মাথায় না রাখলে চরম বিপদ হবে!
এই রস শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে। এটি অন্যান্য চর্মরোগও নিরাময় করে। এটি খেলে আমাদের হার্ট ও লিভার সুস্থ থাকবে।
আলমোড়ার আয়ুর্বেদিক বিভাগের ডা. সুখদেব সিং বনাল লোকাল নিউজ18-কে বলেন যে রডোডেনড্রনের রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর রস পান করলে শরীরে শীতলতা আসে। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। প্রতিদিন দুই গ্লাস এর রস পান করলে শুধু মুখের উজ্জ্বলতা, রক্তস্বল্পতা, হার্ট সংক্রান্ত রোগই নয়, লিভারের রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে।
আলমোড়ার বাসিন্দা মঞ্জু ভোজ লোকাল নিউজ18-কে জানান, তিনি এখানে প্রথমবার রডোডেনড্রনের জুস তৈরি করতে এসেছেন। রডোডেনড্রনের রস পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তিনি আলমোড়ার ফল সংরক্ষণ কেন্দ্রে বন থেকে ফুল তুলে রস তৈরি করতে এসেছেন। তিনি বলেন, রডোডেনড্রনের রস রক্তশূন্যতা, মুখের উজ্জ্বলতা এবং অন্যান্য রোগ থেকে দূরে রাখে।
আরও পড়ুন- ফোনকেই ব্যবহার করা যাবে পিসি-র মতো, অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য সোনা ফলাচ্ছে গুগল
পাহাড়ের অনেক জায়গায় সহজেই এই জুস পাওয়া যায়। কিছু জায়গায় এর জুস প্রতি গ্লাস ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়, আবার কিছু জায়গায় স্কোয়াশ তৈরির পরেও বিক্রি হয়।
হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়! লাইফস্টাইলে ‘এই’ ছোট্ট বদল আনলেই হবে
কলকাতা: করোনা অতিমারির পর থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রৌঢ় বা বৃদ্ধরা তো বটেই, বাদ যাচ্ছেন না তরুণরাও। অনেকে মারাও গিয়েছেন।
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ কী? অনেকেই এমন প্রশ্ন করেন। তাছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায়ও জানতে চান। সে সবেরই উত্তর দিয়েছেন দিল্লির কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ।
দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে রয়েছে ইন্ডিয়ান স্পাইনাল ইনজুরি সেন্টার। এখানে কার্ডিওলজি বিভাগের দায়িত্ব সামলান ডা. অসীম। তিনি ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের চিকিৎসা করছেন।
আরও পড়ুন- দার্জিলিংয়ের এই গ্রাম মোহময়ী, হোমস্টের সব ঘরই কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে, ঘুরে আসুন
তাঁর সঙ্গে তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলে লোকাল ১৮-এর টিম। তিনি বলেন, “কোভিড ১৯ আমাদের সবার শরীরে বড়সড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা হয়েছে হৃদপিণ্ডে। অনেক সময় হার্টে ক্লট হয়। অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তখন রক্ত আর হার্টে পৌছতে পারে না। তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের এটাই সবচেয়ে বড় কারণ”।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে: ডা. অসীম বলেন, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে চাইলে ধূমপান এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা উচিত। অনেকে শরীর ঠিক রাখতে জিমে যান।
কিন্তু এও দেখা গিয়েছে, জিমে গিয়ে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সে জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর যুবকদের প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা করানো উচিত। যেমন ইসিজি। এই পরীক্ষা বলে দেবে, হার্টের অভ্যন্তরে কোনও বড় সমস্যা আছে কি না।
আরও পড়ুন- সস্তার এই সুস্বাদু শাকে ওজন কমবে হুহু করে, ডায়াবেটিস থাকব বশে, কমবে
ডা. অসীমের মতে, প্রতি ৩ থেকে ৫ বছর অন্তর এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। যদি কারও বুকে ব্যথা হয়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে অবিলম্বে ভাল কার্ডিওলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এসব এড়িয়ে চলতে হবে: ডা. অসীম বলেন, খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ডায়েটে রাখতে হবে ফলমূল, সবুজ শাকসবজি এবং হালকা খাবার যেমন ডাল ও রুটি। মাংস, মাখন, ঘি, বার্গার, পিৎজা ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে প্রচুর কোলেস্টেরল থাকে।